দমদম জেলের মধ্য়েই এক বন্দি যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতের নাম রাজ দত্ত ওরফে পিকে। তার বাড়ি বাগুইআটির অর্জুনপুরে। সে জেলে যাওয়ার আগে বাগুইআটিতে মামার বাড়িতে থাকত। এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ দত্তকে। এরপর থেকেই দমদম জেলে থাকতেন ১৮ বছর বয়সি ওই যুবক। তার পরিবারের দাবি, জেলের মধ্য়েই বিষ খাইয়ে তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার তাকে বারাসত কোর্টে তোলা হয়েছিল। সে রক্তবমি করছিল। এরপর পরিবারের কাছে খবর যায় যে মৃত্য়ু হয়েছে রাজের।
এদিকে এই ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিজনরা। তাদের দাবি এই ঘটনার পেছনে প্রশাসন দায়ী। রক্তবমি হচ্ছিল। কিন্তু বার বরা বলার পরেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল না। অনেকবার বলা হলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হল না। ওই মৃত বন্দির বাবার অভিযোগ ১২০০ টাকা দিলে জেল থেকে বাইরে ফোন করা যায়। গাঁজা মদ সব জেলে পাওয়া যায়। ৩০ টাকার বিনিময়ে এসব পাওয়া যায়।
এদিকে মৃতের পরিজনদের দাবি, টাকার বিনিময়ে জেল থেকে ফোন করা যেত। সেই নম্বর থেকেই ফোন করে বলা হয়েছিল যে পিকে আর নেই। তবে পরিবারের দাবি শুক্রবার আদালত থেকে ফেরার পরে ছেলের সঙ্গে তাদের আর কথা হয়নি।
এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য মেলেনি। কীভাবে ওই জেলবন্দির মৃত্যু হল সেটা পরিষ্কার নয়।
মৃতের দিদির দাবি, দুদিন ধরে ভাইয়ের প্রচন্ড জ্বর, রক্তবমি হচ্ছিল। বাড়ি থেকে আবেদন করা হয়েছিল। জেলার কেন আমাদের ভাইকে আরজিকরে নিয়ে গেল না? ডাক্তারের গাফিলতিতে এসব হল। জেলে ব্যবসা হচ্ছে। ওরা রক্ষক নাকি ভক্ষক। জেলার কেন হাসপাতালে পাঠাল না? আমাদের ছেলে ভালো ছিল। ওরা গুন্ডা। আমাদের ছেলেকে কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেছে।
পরিজনরা বলেন, কেন আমাদের ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করল না? আমাদের ছেলে ফুটবল খেলত। তাকে ফাঁসিয়ে দিল।