বছরের প্রথম দিনের সকালেই হুগলির সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তাঁদের দাবি, হাওড়া থেকে সিঙ্গুরগামী সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল ট্রেনটির যাত্রাপথ কোনও মতেই সম্প্রসারণ করা যাবে না। আর সেই দাবি নিয়েই তাঁর নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয় সিঙ্গুর স্টেশনে। উল্লেখ্য, সম্প্রসারিত নতুন রুটে হাওড়া থেকে তারকেশ্বরগামী ওই ট্রেনটির তারকেশ্বর যাওয়া রুখতেই লাইনে জমায়েত দেখা যায়।
১ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার, বছরের প্রথম দিনে ভোরে ৬ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ওই ট্রেন ঢোকে সিঙ্গুরে। ট্রেন আসতেই সিঙ্গুরের স্থানীয় বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী ও সিঙ্গুরবাসী অনেকেই ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ওই ট্রেন চালু হয়েছিল। ট্রেন চালু করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল’ নামে সেই ট্রেন চলেছিল দীর্ঘ ১৫ বছর। সেই ট্রেন ঘিরেই এই গোটা বিতর্কটি।
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম দিনেই বদল হয়েছে হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ। ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে একজোড়া সিঙ্গুর লোকাল তার যাত্রা শুরু করেছে। রেল কর্তৃপক্ষের বার্তা অনুযায়ী, এই দুটি সিঙ্গুর লোকালের একটি যাবে হাওড়া পর্যন্ত, অন্যটি যাবে হরিপাল পর্যন্ত। সোমবার দুটি লোকালের যাত্রাপথের নোটিস পড়তেই তোলপাড় শুরু হয়। তৃণমূল দাবি তোলে, সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত লোকাল ট্রেন বন্ধের চেষ্টা চলছে। এদিকে, রেল বলছে, লোকাল ট্রেনের কোনও নাম হয় না। প্রতিটি লোকাল ট্রেনের নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে। তবে এই ব্যাখ্যায় প্রতিবাদ স্তিমিত হচ্ছে না।
এদিন, বিক্ষোভে সামিল বেচারাম মান্না বলেন, এই ট্রেন সিঙ্গুরবাসীর আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, বহু মানুষ এই ট্রেনের জন্য উপকৃত হন, এই ট্রেন পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি। এরই সঙ্গে তিনি খানিক পর জানান,' আমরা গতকাল থেকেই আমরা আবেদন করেছিলাম যে এটা আমরা মানব না। সেই জন্যই আমরা এখানে বসেছিলাম, যাতে আজকে ওই লোকাল ট্রেনটা না যায়। রেল কর্তৃপক্ষ তারা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাওড়ার দিকে ট্রেন যাবে। সেই জন্য হাওড়ার দিকে ট্রেন যাওয়ার পরই আন্দোলন আমরা আপাতত স্থগিত করলাম। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে, রেল যদি এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করে, আমাদের আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হবে। '