গঙ্গার ঘাটের কাছেই দাঁড় করানো ছিল স্কুটিটি। ডাক্তারের লোগো ছিল সেই স্কুটিতে। শুক্রবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। আর শনিবার বেলুড়ের গঙ্গা থেকেই উদ্ধার হল তরুণ চিকিৎসকের দেহ। মৃতের নাম সৌরভ সাহা রায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোটবেলার বন্ধু রোহন কুমারের সঙ্গে তিনি লালাবাবু সায়র রোডের ধারের একটি ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যে থাকতেন। রোহন ফ্লিম স্টাডিজের ছাত্র। শুক্রবার রাতে দুজনেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান। আর সকালে জগন্নাথ ঘাটের কাছে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের স্কুটি।
পরে গঙ্গা থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? তিনি কি আত্মহত্যা করলেন? নাকি স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন?
তবে আত্মীয়দের দাবি সৌরভ সাঁতার জানতেন না। সেক্ষেত্রে রাতে তিনি গঙ্গায় নামবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। অন্যদিকে রোহন কোথায় গেলেন? ডুবুরি নামিয়েও তাঁর খোঁজ মেলেনি।
সেক্ষেত্রে নানা সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর তাঁরা যখন ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছিলেন তখন এসি অন করা ছিল। কিন্তু সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনায় কি রোহনের হাত রয়েছে? তবে সৌরভ ইদানিং কার্শিয়াংয়ে থাকতেন। তার বাবা মাও চিকিৎক। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা হাওড়ায় আসেন। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।