সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি ছিল আরজি কর মামলার। সেই মামলায় শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, সব পরিষেবার কাজই করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্যের প্রক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, 'সব পরিষেবাতে ফিরে আসব কি আসব না… সেটা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।'
সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, ওপিডি বা আউটপেশেন্ট বিভাগ, আইপিডি বা আউট পেশন্ট ডিপার্টমেন্ট, সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবায় কাজ করবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফের আইনজীবী বলেন, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তিনি অভিযোগ করেন, আইপিডি বা ওপিডিতে কাজ করছেন না তাঁরা। রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরোধিতা করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি পাল্টা বলেন, ‘এটা ঠিক নয়.. সব রকমের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।’ সব পরিষেবায় চিকিৎসকরা সত্যিই যুক্ত রয়েছেন কি না তা কোর্টে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
( Mamata Banerjee: ‘ঠান্ডা লাগছে না?'-ফের মমতাময়ী দিদি, স্বজনহারাকে দিলেন নিজের চাদর)
সুপ্রিম কোর্টে সোমবারের শুনানি পর্ব ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বলেন,' শুনানির জায়গা থেকে এটাই বলার, প্রকৃত দোষী কারা ? এই ঘটনার মোটিভ কী ছিল ? এই জায়গাটা সুস্পষ্টভাবে সামনে আসা উচিত।' তিনি একইসঙ্গে বলেন, ‘পরিষেবা শুরু করতেই পারি। সুপ্রিম কোর্ট এটাও বলেছে, জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে একটা কনফিডেন্স বিল্ডআপ করার প্রচেষ্টা করতে হবে।’ তাঁদের দাবি, যে বা যারা দোষী তাদের দ্রুত চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘সেফটি সিকিউরিটির প্রশ্নে সুনির্দিষ্টভাবে চিফ সেক্রেটারির সঙ্গে যে আলোচনা হয়ছে, যে নির্দেশ এসেছে, তার বাস্তবায়িত রূপ আমরা দেখতে চাইছি।’ উল্লেখ্য, এদিনও সুপ্রিম কোর্টে বারবার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। অন্যদিকে, কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে রাজ্যের তরফে ক্রমাগত সওয়াল করা হচ্ছিল। যার পাল্টা বার্তায় জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীর তরফে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছিল। সদ্য ঘটে যাওয়া সাগর দত্ত হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার পর আজকে সুপ্রিম শুনানির দিকে নজর ছিল সবপক্ষের। সেই দিক থেকে জুনিয়র চিকিৎকরা কোন পদক্ষেপ নেন, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা সহ দেশ।