RG Kar Latest: ‘ঘুম হয়না, সারা রাত ভাবি কী হয়ে গেল.. কাকে মনের কথাটা লিখতে পারি!’ নির্যাতিতার মায়ের চিঠি গেল কাদের কাছে?

Updated: 03 Sep 2024, 10:03 AM IST Sritama Mitra

‘রাতে ঘুম হয়না’, বলছেন নির্যাতিতার মা। একইসঙ্গে তি... more

1/5তাঁদের বুক জুড়ে রয়েছে সন্তান হারানোর কাতর হাহাকার। এই যন্ত্রণাকে সঙ্গে নিয়েই আরজি কর- কাণ্ডে মৃতার অভিভাবকরা তাকিয়ে রয়েছেন ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে। উল্লেখ্য, ২০ দিনের বেশি সময় কেটে গিয়েছে, আরজি করের অন্দরে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর। যে মৃত্যুতে রয়েছে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ। এই মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্ন রয়েছে। আর বহু প্রশ্ন ঘিরে রহস্য রয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে নির্যাতিতার পরিবার দ্বারস্থ হয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ বিশিষ্ট জনের কাছে। আশা ন্যায় বিচারের।

2/5‘রাতে ঘুম হয়না’, বলছেন নির্যাতিতার মা। একইসঙ্গে তিনি বলছেন,'সারা রাত শুয়ে শুয়ে ভাবি কী থেকে কী হয়ে গেল, মনের কথাটা কাকে লিখতে পারি! সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়ে তাই এই চিঠি লিখেছি।' দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ বিশিষ্টদের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবার। পরিবারের তরফে ঘটনা চিঠির আকারে লিখে গত শনিবারই পাঠানো হয়েছে বলে পরিবার সূত্রের দাবি। কিছু চিঠি গিয়েছে পোস্ট অফিসের মারফৎ, কিছু গিয়েছে মেইলে।

3/5মৃতার মা বলেছেন, ‘মেয়ের মৃতদেহ রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের অতিসক্রিয়াতায় পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশের উপর আস্থা রেখেই এগিয়েছিলাম।’ চোখ ভেঙে নামছে বাঁধ ভাঙা জল। ধরে রাখতে পারছেন না মৃতার মা। চোখএর জল কোনওমতে সামলে মৃতার বাবা বলছেন,'যেভাবে প্রথম থেকে সমস্তটা হয়েছে, তাতে আমাদের সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোনওভাবেই একজনের পক্ষে আমার মেয়েকে এভাবে খুন করা হয়েছে বলে বিশ্বাস করি না।' তিনি বলছেন, ‘ পুলিশের ওপর বিশ্বাস রেখে এগিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের বাড়ি এসে আশ্বাস দিয়ে যান, আমরা তাঁর বিরোধী নই, কিন্তু বিচার চাই।’

4/5মৃতার মা বলছেন, 'আমরা সাধারণ পরিবারের। একটা টালির ঘর থেকে মেয়েকে বড় করেছি। ওর বাবা সেলাইয়ের ব্যবসা শুরু করেছিল। তিনজনের এই সংসারে আমি আর ওঁর বাবা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম আর মেয়ে পড়াশোনা করত।' তিনজনের সেই সুখের দুনিয়া থেকে হঠাৎ করে কোলের সন্তানের এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বর্ষীয়ান এই দম্পতি। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

5/5 সন্তানহারা মৃতা চিকিৎসকের মা বলছেন, আগে কখনও ময়না তদন্ত দেখিনি, তাই বুঝতে পারছি না কাকে বিশ্বাস করব। তাঁর একটাই বার্তা, ‘আমরা কারোর বিরুদ্ধে নই, শুধু বিচার চাই।’ (Photo by Samir Jana/ Hindustan Times)

পরবর্তী ফটো গ্যালারি