আরজি কর কাণ্ড ঘিরে উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে রয়েছে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। এদিকে, আরজিকর কাণ্ড ঘিরে বহু অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে, যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এবার আরও এক অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে। উল্লেখ্য, নির্যাতিতার বাবা মা, দাবি করেছিলেন ঘটনার পর তাঁদের কাছে আসে দুটি ফোন। প্রথম ফোনে বলা হয়েছিল ‘আপনাদের মেয়ে অসুস্থ’। পরের ফোনে বলা হয়, ‘আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে’। এবার সেই ফোন কলের অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতে শুরু করেছে (অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)।
আরজি কর-এর নির্যাতিতার বাবা-মাকে সেদিন ঠিক কী বলা হয়েছিল? নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়, প্রথমে তাঁদের মেয়ে অসুস্থ বলে জানানো হয়েছিল, পরে মেয়ে সুইসাইড করেছে বলে জানানো হয়। এবার যে অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, তাতে শোনা যাচ্ছে, দুই তরফের কথপোকথন। একদিকে এক মহিলার কণ্ঠ, অন্যদিকে, এক পুরুষ ও মহিলার কণ্ঠ।
ফোন কল অডিয়ো ১-র কথপোকথনে কী বলা হয়েছে-
মহিলা কণ্ঠ- ওনার অবস্থা খুবই খারাপ। ওনার অবস্থা খুবই খারাপ। আপনি যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন, চলে আসুন।
পুরুষ কণ্ঠ- কী হয়েছে বলো না।
মহিলা কণ্ঠ- সেটা তো ডাক্তার বলবে.. আপনি একটু তাড়াতাড়ি চলে আসুন এখানে।
পুরুষ কণ্ঠ- আপনি কে বলছেন বলুন তো?
মহিলা কণ্ঠ-আমি অ্যাসিসট্যান্ট সুপার বলছি, আমি ডাক্তার বলছি না।
পুরুষ কণ্ঠ- ডাক্তার নেই ওখানে কেউ?
মহিলা কণ্ঠ-আপানার মেয়েকে আমরা ইমার্জেন্সিতে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসুন। এসে যোগাযোগ করুন।
এরপর পুরুষকণ্ঠের দিকের থেকে অপর এক মহিলা কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়- ওর কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল।
মহিলা কণ্ঠ- আপনারা জলদি চলে আসুন, যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন।
ফোন কল অডিয়ো-২ তে বলা হয়েছে-
মহিলা কণ্ঠ- অ.. উনি সুইসাইড করেছেন হয়তো। বা মারা গেছেন।পুলিশ রয়েছেন। আমরা হাসপাতালে সবার সামনে রয়েছি, ফোন করছি।
ফোন কল অডিয়ো- ৩র কথপোকথন একনজরে-
মহিলা কণ্ঠ- ওর একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে, আপনারা কি একটু আসতে পারবেন ইমিডিয়েট?
পুরুষ কণ্ঠ- কেন কী হয়েছে কী?
মহিলা কণ্ঠ-ওর শরীরটা খারাপ। আমরা ভরতি করাচ্ছি ওকে। আপনারা কি ইমিডিয়েট একটু আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ- কী হয়েছে সেটা বলো না তুমি?
মহিলা কণ্ঠ- সেটা তো ডাক্তাররা বলবে আপনারা এলে, আমরা আপনার নম্বরটা জোগাড় করলাম, করে জানালাম, যে বাড়ির লোক হিসাবে আপনারা একটু তাড়াতাড়ি আসুন।
পুরুষকণ্ঠ- কী হয়েছে বলো না তুমি?
মহিলা কণ্ঠ- পেশেন্টের শরীরটা খারাপ, ভরতি হয়েছে হাসপাতালে। বাকিটা আপনারা এলে ডাক্তার বলবে।
এরই মাঝে পুরুষকণ্ঠের দিকে থাকা অন্য মহিলার কণ্ঠে শোনা যায়- ওর কি জ্বর হয়েছে?
মহিলা কণ্ঠ- আপনারা একটু আসুন, জলদি আসুন, যত তাড়াতাড়ি পারবেন।
পুরুষ কণ্ঠ-কেন খুব খারাপ অবস্থা?
মহিলা কণ্ঠ- খুব অবস্থা খারাপ, হ্যাঁ খুব অবস্থা খারাপ, একটু তাড়াতাড়ি চলে আসুন।