আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টার থেকে উদ্ধার হওয়া রক্তমাখা গ্লাভস নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। সেই রক্তমাখা গ্লাভস বিতর্কের কিনারা করতে সদ্য গ্লাভসগুলি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, আর জি কর হাসপাতালের গ্লাভসের সঙ্গে ওই রক্তমাখা গ্লাভসের ব্যাচের নম্বরের কোনও মিল নেই। ফলে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর।
যদি ওই গ্লাভস হাসপাতালের না হয়ে থাকে, তাহলে তা হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগ থেকে উদ্ধার হল কীভাবে? তাহলে কি কেউ এই গ্লাভস সেখানে ফেলে রেখে গিয়েছিল? সেটা হলে তার নেপথ্যে কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে? এদিকে, কীভাবে ওই গ্লাভস ট্রমা কেয়ার সেন্টারে এল,তার কিনারা করতেই এবার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাচ নম্বরের কোনও গ্লাভসই সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে আরজি কর-এ কখনও সরবরাহই হয়নি। এই গোটা বিতর্কের নেপথ্যে কে? খুঁজছে কর্তৃপক্ষও।
এদিকে, এক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামি সপ্তাহেই রক্তমাখা গ্লাভসের রিপোর্ট আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের ফরেন্সিক থেকে আসবে। তবে যে দাগ রয়েছে গ্লাভসে, তা রক্তের নয় বলে আগেই বায়োক্যামিস্ট্রি ল্যাবের রিপোর্ট উল্লেখ করে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এই গোটা বিষয়টিই কি ষড়যন্ত্র?
এর আগে, পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের অনশনের সময়ই আরজি করের অন্দরে ট্রমা কেয়ার বিভাগ থেকে ওই গ্লাভস উদ্ধার হয়। এরপরই হাসপাতালের অন্দরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই রক্তমাখা গ্লাভস নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্তেই বলা হয়েছে, গ্লাভসে রক্ত ছিল না। এছাড়াও এখন মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, আরজি করের ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে মিলই নেই ওই গ্লাভসের ব্যাচের নম্বরে। আগেই আরজি কর হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন যে , বায়োক্যামিস্ট্রি ল্যাবে পরখ করে দেখা গিয়েছে, ওই গ্লাভসে যে দাগ রয়েছে তা রক্তের দাগ নয়। দাগ কীসের, তা জানতেই গ্লাভসকে ফরেন্সিক সায়ান্সেসের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।