Saline Incident Latest Update: শুধু স্য়ালাইন নয়, এবার অক্সিটোসিনও কাঠগড়ায়। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি সামনে এসেছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের দৃশ্য। রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিকেল কলেজেও নাকি একই অবস্থা বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। এবার স্যালাইনের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠল অক্সিটোসিন নিয়েও। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, নিম্নমানের অক্সিটোসিন ব্যবহারের কারণে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হচ্ছে।সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু।
আরও পড়ুন - Kunal Ghosh: ‘নজর ঘোরানোর খেলা,’ প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে লিখলেন কুণাল, ‘লজ্জা করে না!’ পালটা নেটপাড়া
চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান
দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিকেল কলেজেও একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আনন্দবাজারে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ।
কী এই অক্সিটোসিন?
প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন। কিন্তু অধিকাংশ মেডিকেল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন - সরকারি হস্টেলে থেকে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, পুত্রসন্তানের জন্ম, আলিপুরদুয়ারে আলোড়ন
কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।
চিকিৎসকদের দাবি
স্যালাইনের গুণগত মান নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও এবার প্রশ্ন তোলা হোক। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।