রাজ্যের করোনা গ্রাফ কার্যত কোনও লাগাম মানছে না। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের তরফে ইতিমধ্যেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার থেকে বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, আগামী ৯ জানুয়ারি রয়েছে স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেট পরীক্ষা। তবে বাড়বাড়ন্ত করোনা পরিস্থিতির মাঝে এই পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়েছে, সরকারি কলেজ শিক্ষক সংগঠন। ইতিমধ্যেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে।
'অ্যাক্রিডিটেশন' এর ইস্যুতে গতবার হয়নি সেট পরীক্ষা। উল্লেখ্য, এরপর ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি এই পরীক্ষা হওয়ার কথা । এদিকে, দুই বছর পর এই পরীক্ষা হতে চলায় ক্রমেই বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য ২০০ টি কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়েছে। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্যই এই বন্দোবস্ত ছিল। এর আগে ৮০ টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হত। এদিকে, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এই পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বারস্থ হয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সংগঠন। তবে এর আগে , করোনা বিধি নিষেধ রাজ্যে লাগু হলেও, কলেজ সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল ৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয়পত্র বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত হবে। এদিকে, নতুন করে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে মন্ত্রিদের দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ শিক্ষক সংগঠন। এরপর পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে কি না, তা নিয়ে রয়েছে জোর জল্পনা। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, যদি ৯ জানুয়ারির এই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়, তাহলে তা ১৫ জানুয়ারির পর হলেও হতে পারে।
এদিকে, কোভিড পরিস্থিতির মাঝেই নতুন করে ওমিক্রন আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই হাজার পার করে করোনা গ্রাফ তির বেগে এগিয়ে চলেছে। জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ। অন্যদিকে, ৯০ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে ৯ জানুয়ারি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। এরপর সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ কোনদিকে যায়, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।