শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তবে সেই রত্না চট্টোপাধ্যায় যাতে এসএসকেএম-এ তাঁর কেবিনে বিনা অনুমতিতে ঢুকতে না পারেন, তার জন্য আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি লেখালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু রত্নার সঙ্গে নয়, শোভন তাঁর নিজের সন্তানদের সঙ্গেও দেখা করতে চান না।
সোমবার নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল শোভন সহ রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে। গ্রেফতারির পরই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় শোভনদের। সেখানে পৌঁছাতেই শরীর খারাপ হয়ে যায় শোভনের। এরপর তাঁকে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারপর তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শোভন-পুত্র সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সেদিন এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন রত্না। আজ সকালেও ছেলেকে নিয়ে রত্না এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি শোভনকে দেখতে গিয়েছিলেন।
এই আবহে এসএসকেএম-এর সুপারকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী চিঠি লিখে জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শরীর ভালো নেই৷ রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ এই অবস্থায় শোভনের অনুমতি ছাড়া যেন রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া হয়৷ এতে তাঁর মানসিক উদ্বেগ বাড়তে পারে৷ একই কথা বলা হয়েছে শোভন-পুত্র সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায় ও শোভন-কন্যা সুহানি চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে৷ আইনজীবীর চিঠিতে লেখা, বাবা পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে, তা সপ্তর্ষি এবং সুহানি দেখলে তাঁদের কাছে শোভনের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
এদিকে, এদিনও জামিন মঞ্জুর হল না শোভন সহ বাকি তিন হেভিওয়েট নেতাদের। এই আবহে আরও অন্তত দুই দিন হেপাজতেই থাকতে হবে তাদেরকে। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা নেতাদের শারীরিক অসুস্থতা কতটা গুরুতর, তা নির্ধারণ করতে বিশেষ মেডিক্যাল দল গঠন করতে পারে সিবিআই। এইমস-এর ডাক্তারদের নিয়ে সেই মেডিক্যাল দল গঠন করা হতে পারে।