রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এদিন আবাস প্রকল্প নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিলেন বড় বার্তা। এই প্রকল্প ঘিরে বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৩ বছর ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে, রাজ্যই আবাস প্রকল্পে টাকা দেবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, রাজ্যে ১২ লক্ষ মানুষকে এই যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এরই মাঝে শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বড়সড় বার্তা দিলেন।
আবাস প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শাসকদলকে টার্গেট করে বলেন,' আপনারা ১১ লাখ মানুষের বাড়ি তৈরির কথা বলছেন, আমি বলছি আপনারা রেকটিফাই করুন, আমরা আরও ২০ লাখ মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব।' শুভেন্দু এও বলেন,'আবাস যোজনার জন্য যারা টাকা খেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।' একধাপ এগিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘ আসুন না, একসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গরিব মানুষের বাড়ি করে দিই।’
শুভেন্দু বলছেন, গ্রামসভায় আবাস নিয়ে স্বচ্ছ্ব তালিকা তৈরি করে সর্বদল বৈঠকে পাশ করিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে, অবাস চালুর প্রস্তাব রাখছি।' সাফ বার্তায় বিজেপির দাপুটে নেতা শুভন্দুর প্রশ্ন, ‘সমাধান চান নাকি সমস্যা জিইয়ে রাখতে চান? আপনারা ভায়োলেশন করেছেন বলেই টাকা আটকানো হয়েছে।’
এদিকে, শুভেন্দুর তরফে শাসকদলকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা নিয়ে মন্তব্য বাংলার রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন ফেলেছে। বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে, আবাসের প্রকল্পে রাজ্য ১১ লখ বাড়ি তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু করলে, গ্রামে তৃণমূলের জোর আরও বাড়বে। সেই আন্দাজ করেই পিচ পোক্ত করতে বিজেপিও সরকারের সঙ্গে উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চাইছে, এমন বার্তা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির, বলে মনে করছেন অনেকেই। বহু পর্যবেক্ষকের মতে, বারবার রাজ্য সরকারের বিরোধিতার রাস্তায় হেঁটেও বিজেপি সেভাবে লাভ ঘরে তুলতে পারেনি। এদিকে, পর পর প্রকল্পে জোর বাড়িয়ে তৃণমূল জনসংযোগ পোক্ত করে জন ভিত্তি বাড়িয়ে নিতে পেরেছে বহু ক্ষেত্রে। সেই জায়গা থেকেও আজ শুভেন্দুর মন্তব্য কার্যত ছিল ইয়র্কার। এমনই দাবি বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের। এদিন সদ্য উপনির্বাচনের ফল নিয়েও শুভেন্দু অধিকারী মুখ খোলেন, তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে আমার জেলায় ১৬র মধ্যে ১৫ তে বিজেপি লিড পেয়েছে। আপনাদের সাফ করে দিয়েছি। ওসব ৬-০ শোনাবেন না।’