অনলাইনে চলছে পড়াশোনা। কিন্তু তাতেও বহু জায়গায় ফাঁক ফোকড় থেকে যাচ্ছে। এবার সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী শিক্ষকদের একাংশ। বিশেষত নবম শ্রেণির পর থেকে পডুয়াদের একাংশের পড়া বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। এদিকে স্কুলও বন্ধ। সেক্ষেত্রে যাদের অনলাইনে পড়া বুঝতে সমস্যা হচ্ছে তাদের স্কুল ডেকে নিয়ে এসে পড়া বোঝানোর পরিকল্পনা নিচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ।
এদিকে অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই ক্লাস ঠিকমতো হচ্ছে না। ভরসা বলতে গৃহশিক্ষকরা। কিন্তু সমস্ত বিষয়ে গৃহশিক্ষক রাখার মতো আর্থিক অবস্থা অনেকেরই নেই। এদিকে অনলাইনেও পড়া বুঝতে পারছে না অনেকের। সেকারণেই এবার বিকল্প পথ ভাবছেন শিক্ষকদের একাংশ। ইতিমধ্যেই একাধিক স্কুলে এব্যাপারে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
বলা হচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে স্কুলেই থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়েক শিক্ষক। কেউ অনলাইনে পড়া বুঝতে না পারলে সে স্কুলে এসে শিক্ষকের কাছ থেকে পড়া বুঝতে পারবে। মূলত দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাংশকে ছোট দলে ভাগ করে স্কুলে ডেকে নিয়ে এস পড়ানোর কথা ভাবছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ সামনেই পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ কিছুটা পিছিয়ে থাকছে। সিলেবাসের একাংশ না বুঝেই পরের চ্যাপ্টারে চলে যাচ্ছে। এবার সংক্রমণ এড়িয়েও ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা চিন্তা করছেন শিক্ষকদের একাংশ। তবে অভিভাবকদের একাংশের দাবি, টিউশনের ব্যাচগুলো আগের মতোই চলছে। সেক্ষেত্রে স্কুলেই ছোট দলে ভাগ করে শিক্ষকরা পড়ালে আপত্তি কোথায়?