খরিফ মরশুমে ধান সংগ্রহের কাজে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্যের খাদ্য দফতর। এবার থেকে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে পারচেজ অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন দফতরের নিজস্ব কর্মীরা। এতদিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করে এই দায়িত্ব দেওয়া হতো। তবে এবার সেই প্রথা ভেঙে দফতরের স্থায়ী কর্মীদেরই ময়দানে নামানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধান বিক্রিতে বড় সিদ্ধান্ত, একবারে সর্বোচ্চ ১৫ কুইঃ বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা
খাদ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন অফিস থেকে ৬০০-রও বেশি কর্মীকে ধান ক্রয়কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাব-ইনসপেক্টর, আপার ডিভিশন ক্লার্ক এবং লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে কর্মরতরা। ইতিমধ্যেই কাকে কোন জেলায় পাঠানো হচ্ছে তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বর্তমান দফতর থেকে কর্মীদের ‘রিলিজ’ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে যাতে ৩১ অগস্টের মধ্যেই তাঁরা নতুন দায়িত্বে যোগ দিতে পারেন।
২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে নভেম্বর মাস থেকে ধান কেনার কাজ শুরু হবে। সেই উপলক্ষে এবার মোট ৬০৪টি স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র খোলার ঘোষণা করেছে খাদ্য দফতর। পাশাপাশি থাকছে আরও ১৭৫টি মোবাইল ক্রয়কেন্দ্র। এগুলির মাধ্যমে গাড়ি নিয়ে সরাসরি গ্রামে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। স্থায়ী কেন্দ্রগুলিতে সপ্তাহের প্রতিদিনই ধান কেনা হবে। কৃষকরা ধান বিক্রি করলে প্রতি কুইন্টালে ন্যূনতম মূল্যের পাশাপাশি ২০ টাকা করে বোনাস দেওয়া হবে। তবে এর জন্য আগে অনলাইনে বুকিং করতে হবে। বুকিং প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই আধারভিত্তিক বায়োমেট্রিক যাচাই, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনসহ একাধিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর কিছু ক্রয়কেন্দ্রে পারচেজ অফিসারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ছিল, স্বচ্ছতার অভাব ও অনিয়ম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার দফতর নিশ্চিত করতে চাইছে যে ধান কেনার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য হোক। তাই অবসরপ্রাপ্তদের বদলে সরাসরি স্থায়ী কর্মীদের ময়দানে নামানো হচ্ছে।