তিনতলার বারান্দা থেকে প্রথমে একটি গাড়ির ছাদে পড়েন ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধ। এরপর সেখান থেকে মাটিতে পড়ে মৃত্য়ু হয় তাঁর। রাজ্য জুড়ে যখন আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তখন কলকাতার হাজরা রোডের বুধবারের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল এলাকায়। কিন্তু কেন এই মৃত্যু? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধের পরিবারের তিনজন করোনায় আক্রান্ত। ওই প্রবীণ ব্যক্তিও অসুস্থ ছিলেন। তাঁকেও আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে সব মিলিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ।
এদিকে বুধবার স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন বহুতলের বারান্দায় বাঁধা কাপড়ের সঙ্গে তিনি ঝুলছেন। অনেকেই তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনওভাবে তিনি নীচে পড়ে যান। বাড়ির নীচে গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই গাড়ির ছাদে গিয়ে প্রথমে পড়েন তিনি। এরপর সেখানে থেকে মাটিতে। তাঁকে উদ্ধার করে শিশু মঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু তিনি কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন? নাকি করোনার আতঙ্কে কাপড় বেয়ে ঘর থেকে বেরোনর চেষ্টা করেছিলেন তিনি?সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেন ওই বৃদ্ধ বারান্দায় এসেছিলেন সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে করোনা আবহের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।