এই ঘটনা নরেন্দ্রপুরের। একই পরিবারের ৩ জনের একইসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় সেখানে শোরগোল পড়েছে। বাড়ির বছর ২৩র মেয়ের জ্ঞান ফিরলেও, মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন মা জলি রায়। এর আগে, বুধবার রাতে জলি রায় তাঁর বোন ডলি দাসকে ফোন করেন। বৃহস্পতিবার সকালেই ডলি দিদির বাড়ি যান। তিনি যেতেই সামনে আসে এই আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন, বছর ৬৩র দীপক রায়, বছর ৫৫র স্ত্রী জলি রায়, ২৩ বছর বয়সী মেয়ে দিশারী। তাঁদের মৃত্যুর নেপথ্যে আর্থিক অনটন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে, বুধবার রাতে জলি রায় তাঁর বোন ডলি দাসকে ফোন করেন। জমি সংক্রান্ত কোনও ব্যাপারে কথা বলার জন্য বোনকে ডেকে পাঠান। সেই মতো বৃহস্পতিবার সাড়ে ১০ টা নাগাদ জলিদের বাড়ি আসেন বোন। অনেকক্ষণ ধরে কলিং বেল বাজালেও সাড়া শব্দ মেলেনি। তখনই কিছুক্ষণ বাদে বোনঝি দিশারী বেরিয়ে আসেন। বোনঝির হাতে তখন ধারালো অস্ত্রে কাটার দাগ। ঘরে ঢুকে দিদি জলি আর জামইবাবু দীপককে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান ডলি। কাল বিলম্ব না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে দিশারী জানান, তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। ততক্ষণে পাড়াপড়শিরদের ডাকা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
অসুস্থ ৩ জনের মধ্যে মা জলি রায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ বলছে, ঘরে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ বলছে, আমরা ঘটনার তদন্তে নেমেছি। একজন মারা গিয়েছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, দীপক রায়ের বাড়ি হাবড়ায়। তিনি সেখানে ঘর জামাই থাকতেন। দীপক এককালে পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিলেন। কয়েক মাস আগে, তাঁর কাজ চলে যায়। বাড়িতেই মুদির দোকান খোলেন দীপক। দোকানও ভালোভাবে না চলায় তা বন্ধ হয়। শেষে শুরু হয় আর্থিক অনটন। অনটনের জেরে পড়াশোনাও মাঝপথে ছেড়ে দেয় দিশারী। পুলিশ মনে করছে আর্থিক অনটনের জেরেই পরিবারটি এমন পথে হাঁটে।