বহু ধরনের ফাঁদ পাতা হয়েছিল। কখনও ছাগল, কখনও শূকরের মাংস দিয়ে বাঘকে খাঁচা বন্দি করার তৎপরতায় ছিলেন বনদর্মীরা। তবে বনদফতরকে নাকানিচোবানি খাইয়ে শেষমেশ পুরুলিয়া ছেড়ে গেল বাঘ। কিছুদিন আগে পুরুলিয়ায় আসা বাঘিনী ‘জিনাত’র বন্ধু হিসাবেই এই বাঘকে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সে দিনাতকে খুঁজতেই এই পথে পা বাড়িয়েছিল। তবে, পুুরুলিয়া ঘুরেও, কারো হাতে ধরা না দিয়ে বাঘ গিয়েছে অন্যত্র। কোথায় গেল বাঘ? তা ঘিরেও রয়েছে তথ্য।
হাঁপ ছেড়ে বাঁচল পুরুলিয়া। বাঘ এলাকা ছেড়েছে বলে খবর। গত ৮ দিন ধরে বাংলার পশ্চিমের এই রাজ্যের একাংশে বাঘের আতঙ্ক ক্রমেই জাঁকিয়ে বসেছিল। রাইকা, ভাঁড়ারি ও যমুনাগোড়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় বাঘের পায়ের ছাপই সেকথা জানান দিয়েছে। এছাড়াও ট্র্যাপ ক্যামেরাতেও বাঘের ছবি ধরা পড়েছিল। ড্রোন উড়িয়েও বাঘ ধরার চেষ্টা করা হয়। জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় জালও দেওয়া হয়। তবে সব মিলিয়ে লাভ খুব একটা হয়নি। কোনও মতেই ধরা দেয়নি বাঘ। এদিকে, সদ্য ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের গতিবিধি ধরা পড়তেই হুলা পার্টি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে মোট ১৪টি দল গঠন করে শনিবার থেকে তল্লাশি শুরু হয়। রাইকা, ভাঁড়ারি ও যমুনাগোড়া পাহাড় জুড়ে চলে খোঁজ। জায়গায় জায়গায় জাল দেওয়া হয়, যাতে বাঘ বেরিয়ে না যেতে পারে। তবে বাঘ বন্দি হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুদিন আগে, ওড়িশা থেকে আসা বাঘিনী জিনত বাংলার জঙ্গলমহলে ঢুকে যে যে জায়গায় গিয়েছে এই বাঘও সেখানেই বিচরণ করেছে। তা থেকে সামান্য ধারণা করা যায় যে, বাঘটি জিনাতের খোঁজেই জঙ্গলমহলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এদিকে, বাঘের গলায় নেই রেডিও কলার। ফলে তাকে ধরতে ঘুম ছুটেছে বনদফতরের। এবার প্রশ্ন হল বাঘ গেল কোথায়? তার উত্তরে জানা যাচ্ছে, বাঘটি ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছে। আর তার প্রমাণ দিচ্ছে বাঘের পায়ের ছাপ। ঘাঁটিকুলির জঙ্গলে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হয়েছেন বনকর্মীরা। তবে পুরুলিয়া থেকে বাঘ সত্যিই চলে গিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে নজরদারি এখনও রাখছে বনদফতর। বাঘ আবার পুরুলিয়ায় ফিরে আসে কিনা, সেদিকেও থাকবে নজরদারি।