তৃণমূলের দুই তাবড় নেতার সংঘাত ঘিরে কিছু দিন আগেই রাজ্য রাজনীতিতে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যদিকে, বিধায়ক মদন মিত্র। তবে বাক বিতণ্ডা ঘিরে পারদ চড়লেও পরে তা ‘মিটমাট’ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাদের দু’জনের ব্যাপার, এখন সেটা মিটেও গিয়েছে।’ এদিকে, দুই সিনিয়র নেতার বাক বিতণ্ডার মধ্যে নাম এসেছিল কাঞ্চন মল্লিকের। তা নিয়ে টিভি নাইন-র এক সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন মল্লিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তাঁর রাগ হয়না এই সব ঘটনায়?
ওই সাক্ষাৎকারে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘ আমার সাংসদ কল্যাণ। তিনি ও মদন মিত্র দুজনেই বর্ষীয়ান নেতা। আমি কোনও দিনওই সমালোচনা করার এক্তিয়ারই দেখাইনি।' উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের গাড়ি থেকে কাঞ্চনকে নামিয়ে দেওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। শ্রীরামপুরের তৎকালীন ভোটপ্রার্থী তথা বর্তমান সাংসদ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চনের সেই সময়ের ভিডিয়ো ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। সেই পর্বের পর বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে গঙ্গা দিয়ে। লোকসভা ভোটে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার পর তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান কাঞ্চন।
এদিকে সদ্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মধ্যে বেশ কিছুটা প্রকাশ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। মদন মিত্র, কল্যাণের বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্যের মাঝে নাম উঠে আসে কাঞ্চনের। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবহার নিয়ে কাঞ্চনের বক্তব্য কী? ওই সাক্ষাৎকারে কাঞ্চন বলেন,' আমি মনে করি নীরবতাই ভাল।' এর আগে তিনি বলেন,' বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কেউ বোতল ভাঙতে পারে, কেউ দরজায় ঘুষি মারতে পারে। আবার কিছু প্রতিক্রিয়া হয়, চুপ করে থাকা।' সদ্য কাঞ্চন মল্লিকের ঘরনী শ্রীময়ী জন্ম দিয়েছেন ফুটফুটে কন্য়া সন্তানের। ঘর জোড়া এই উৎসবের সময়ের মাঝেই কাঞ্চন ২০২৬ বিধানসভা ভোট নিয়ে প্রশ্নেরও উত্তর দেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি টিকিট পাবেন আসন্ন বিধানসভা ভোটে? কাঞ্চন বলেন,' এখনও এক বছর বাকি, আর এই এক বছরে অনেক কিছু হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রিকোয়েস্ট করেছিলেন তাই এসেছি। যদি বলেন দরকার নেই তাহলে দরকার নেই।'