গোটা ঘটনার সূত্রপাত ৮ বছর আগে। সেই সময় তৃণমূলের বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজির নাম জড়িয়েছিল এসএসকেএম-এ এক কুকুরের ডায়ালিস কাণ্ড ঘিরে। সেই ঘটনা ঘিরে চিকিৎসক কুণাল সাহা, নির্মল মাজির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন। আর মামলায় নির্মল মাজিকে বেকসুর খালাস করে কোর্ট। বিধানননগরের সাংসদ-বিধায়ক বিশেষ আদালতে নির্মল মাঝিকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করা হয়। তবে কুণাল সাহা, এখানেই লড়াই শেষ করছেন না। তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৫ সালে। সেই সময়, এসএসকেএম-এ নেফ্রোলজি বিভাগে নির্মল তাঁর এক আত্মীয়ের কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর ব্যবস্থা করে দেন, বলে অভিযোগ ছিল। সেই বিষয়ে অনুমতি, তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান থেকে অধিকর্তার অনুমতি মিলেছিল বলে খবর। তবে এই ঘটনা আটকানো গিয়েছিল চিকিৎসকদের তৎপরতায়। সেই সময় চিকিৎসক কুণাল সাহা, বিষয়টি নিয়ে দ্বারস্থ হন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার। ২০১৯ সালে এমসিআইয়ের ওই কমিটির তরফে নির্মল সহ বাকি ২ জনের ভূমিকার নিন্দা করে তাঁদের সতর্ক করা হয়েছিল।
এদিকে, মানহানি মামলায় নির্মল বেকসুর খালাস হতেই তাঁর আইনজীবী সোমা দাস বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলাকারী উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ফলে এই মামলায় উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে নির্মল মাজি বেকসুর খালাস হয়ে যান। এদিন, বিচারক ঈশান মজুমদার মামলা খারিজ করে নির্মলকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন। এদিকে, কুণাল সাহার অভিযোগ, নির্মল মাজি তাঁকে সামাজিকভাবে অপদস্ত করতে চেয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে নানান মিথ্যা অভিযোগ করেন। সেই মর্মেই তিনি নির্মল মাজির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। মামলা থেকে অব্যহতি পেতেই নির্মল বলেন,' আমাকে হেনস্থা করতে ওই চিকিৎসক একাধিক মামলা করেছিলেন, এই নিয়ে ২ টি মামলা খারিজ হল।'