বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > সবুজ শক্তির উদ্যোগে ব্রিটেনের সঙ্গে হাত মেলালো কলকাতার দুই সংস্থা

সবুজ শক্তির উদ্যোগে ব্রিটেনের সঙ্গে হাত মেলালো কলকাতার দুই সংস্থা

ফাইল ছবি: টুইটার (Twitter)

ZEV ঘোষণাপত্রে ইতিমধ্যেই ২০০-রও বেশি সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে ব্রিটেন এই ঘোষণাপত্রের সূচনা করে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কী সেই লক্ষ্য?

লক্ষ্য সবুজ ভবিষ্যত। আর সেই উদ্দেশ্যপূরণে বির্টেন-কলকাতা যোগ। ব্রিটেন সরকার সমর্থিত জিরো এমিশন ভিহেকলস(ZEV) ডেকাথেলনের অংশ হল শহরের দুই সংস্থা, বিক্রম সোলার এবং স্ন্যাপ-ই ক্যাবস। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, কলকাতার দুই সংস্থা 'এক্সিলারেটিং টু জিরো কোয়ালিশন' প্ল্যাটফর্মে স্থান পাবে। ২০২২ সালের রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে এই প্ল্যাটফর্মের সূচনা হল। মিশরের শর্ম এল শেখে এই জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (COP27) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও পড়ুন: Skyroot: সফলভাবে রকেট পাঠাল স্কাইরুট, নেপথ্যে IIT খড়গপুরের প্রাক্তনী

ZEV ঘোষণাপত্রে ইতিমধ্যেই ২০০-রও বেশি সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে ব্রিটেন এই ঘোষণাপত্রের সূচনা করে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কী সেই লক্ষ্য? সেটি হল, আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি নতুন গাড়িই শূন্য নির্গমণের হবে। অর্থাত্ সহজ ভাষায়, প্রায় সমস্ত পেট্রোল-ডিজেল চালিত যানবাহনের উত্পাদনই বন্ধ হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে প্রথম সারির বাজারগুলির ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ২০৩৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ZEV-এর সঙ্গে হাত মেলানোর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা, সবুজ শক্তির বিষয়ে তাদের ভাবনা, প্রচেষ্টা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে পারবে। শুধু তাই নয়, এর থেকে সংস্থাগুলি ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সবুজ শক্তির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। আরও পড়ুন: আলাদা চার্জারের দিন শেষ, সব স্মার্টফোনে টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট, সিদ্ধান্ত ভারতের

বিক্রম সোলার এবং স্ন্যাপ-ই ক্যাবস- দুই সংস্থাই কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির প্রচলের বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসের উপস্থিতিতে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনের কার্যালয়ে দুই সংস্থা এই প্ল্যাটফর্মের অংশীদার হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানান, কলকাতায় এই দিনটিকে COP27 দিবস বলা যেতে পারে।

বন্ধ করুন