শেষমেশ খুলে গেল পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত। শুরু হয়েছে যান চলাচল। এর আগে ২৪ ঘণ্টা ধরে এই সীমানা ছিল ‘সিল’ করা। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাগামী সমস্ত গাড়ি আটকেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পাল্টা বিক্ষোভে ঝাড়খণ্ডে শুরু হয়েছিল বনধ, বিক্ষোভ। শেষমেশ এবার এই সীমান্ত দিয়ে চলল গাড়ি। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে।
বাংলার বহু জায়গায় এলাকার পর এলাকা জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে সদ্য বহু পরিমাণে জল ছেড়েছে ডিভিসি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এরপর জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসিকে মমতা নিশানা করতেই পাল্টা তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতাকে নিশানা করে বলেছিলেন,'ডিভিসি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেখান, বাংলার ৮ জেলা অন্ধকারে ডুবে যাবে।' তাঁর কটাক্ষ ছিল,'ঝাড়খণ্ডের গাড়ি আটকালে পেঁয়াজ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। মমতা নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন।' এরপর সন্ধ্যা হতেই খুলে যায় ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত। সেই ঘটনা নিয়ে পাল্টা আরও এক টুইটে মমতাকে বেঁধেন শুভেন্দু। শুভেন্দু তাঁর পোস্টে দাবি করেন, বাংলায় ঝাড়খণ্ডের গাড়ি ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, NHAI, সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রকের একযোগে চাপ বাড়তে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। সেই চাপের মুখে পড়েন মমতা, বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর দাবি, এছাড়াও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিক্ষুব্ধদের প্রতিবাদ শুরু হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘এক পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে যান মমতা।’ মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'এটি আরজি কর ঘটনা থেকে শুরু হয়েছিল, প্রশাসক হিসাবে এবং টিএমসি সুপ্রিমো হিসাবে তাঁর নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপই বিপরীতমুখী হয়েছে।'
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা থেকে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তে সমস্ত গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। বহুক্ষণ ধরে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল শুরু হতেই স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ী মহলে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আসানসোল ঝাড়খণ্ড সীমানায় ৫ টি নাকা পোস্ট সিল করে পশ্চিমবঙ্গ। আটকে পড়ে বহু পণ্যবাহী গাড়ি। দিল্লি থেকে সেনা ক্যাম্পের জন্য প্যাকেট বন্দি খাবার সহ বহু পণ্যের গাড়ি আটকানো হয়। তারপর শেষমেশ আজ খুলল সীমান্ত।