রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বিভেদকামী শক্তিকে পরাস্ত করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীতকে উদ্ধৃত করে জানান, ‘বিভেদকামী শক্তি যখন বিভেদের কথা বলে তখন আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে থেকে বলি, পঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল বঙ্গ। বিশ্বকবি একতার জয়গান শিখিয়েছিলেন।’
রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন নোবেল চুরি যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার খুব দুঃখ হয়। রবিঠাকুরের নোবেল আজও উদ্ধার হয়নি। বাম আমলের ঘটনা। সিবিআইকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই সম্ভবত কেসটা ক্লোজ করে দিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এটা আমাদের কাছে খুবই অসম্মানের। বড় গায়ে লাগে। এতবড় একটি জিনিস সর্বপ্রথম আমরা পেলাম। আর আমাদের কাছ থেকে সেটা কেউ নিয়ে নিল, হারিয়ে দিল। এটা খুবই অসম্মানের। নোবেল পুরস্কার চলে গেলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভোলা যায় না। নোবেল পুরস্কারটা উনি আমাদের হৃদয়ে গেঁথে দিয়ে গেছেন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘রবিঠাকুরের জন্ম না হলে বাংলার নবজাগরণের বৃত্তটাই সম্পূর্ণ হয় না। রবিঠাকুর সাগরের মতো। তাঁর গভীরতা, পরিধি মাপা যায় না। তিনি বিশ্বকে আলোকিত করেছেন। শুষ্ক মরুভূমিতে উৎসারিত আলোর ঝরনা এনে দিয়েছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বিশ্বকবি আপামর বাঙালির হৃদয়ে মুক্তার মালার মতো রেয়েছেন সর্বদা। সকাল থেকে রাত সবসময় বাঙালির জীবনে জড়িয়ে রয়েছেন রবিঠাকুর।’ এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চাকরি দেওয়া হয় খেলোয়াড় মনোতোষ চাকলাদার এবং দিলীপ ওঁরাওকে। মুখ্যমন্ত্রী কোটায় চাকরি পেয়েছেন ২ কৃতী খেলোয়াড়। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ও কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি সুবোধ সরকার, কবি প্রসূন ভৌমিক, কবি শ্রীজাত প্রমুখ। বাংলা আকাদেমির পক্ষ থেকে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।