ছটপুজোর আগেই গঙ্গার ঘাট ও সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে, গঙ্গার মধ্যে পড়ে থাকা প্রতিমার কাঠামো যত দ্রুত সম্ভব তুলতে হবে এবং ঘাটের আশেপাশের এলাকা ভ্রাম্যমান জনসমাগমের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘বিহারের চেয়েও বাংলায় বেশি ছট পুজো হচ্ছে’, তক্তাঘাটে উদ্বোধনে এসে দাবি মমতার
বারাকপুরে দেখা গেছে, চিড়িয়ামোড়ে কার্নিভালের পর বহু প্রতিমা রানি রাসমণি ঘাটে বিসর্জিত হয়েছে। এছাড়াও বারাকপুর ও টিটাগড়ের ঘাটে প্রচুর প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এ থেকে গঙ্গা দূষণ রোধের জন্য ইতিমধ্যেই কাঠামো অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিষদের সদস্য নওশাদ আলম জানান, পুর দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত ঘাট পরিষ্কার করা হচ্ছে। শুধু কাঠামো তোলা নয়, সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাও নিশ্চিত করা হবে। ছটপুজোর দিন বহু মানুষ ঘাটে ভিড় করবে, যাতে তাদের কোনও অসুবিধা না হয় সেইজন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উত্তর কলকাতার অন্যান্য পুরসভাও এই পদক্ষেপ শুরু করেছে। ভাটপাড়া, গারুলিয়া, উত্তর বারাকপুর, নৈহাটি ও হালিশহর পুরসভা গঙ্গা থেকে প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলার পাশাপাশি আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করছে। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, বিসর্জনের পরপরই সাফাইকর্মীরা কাঠামো অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। সামনের কালীপুজোকে সামনে রেখে, যেখানে দর্শনার্থীর ভিড় বেশি হয়, রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ পরিষ্কার রাখা হবে। একইভাবে হালিশহরের ঘাটেও কাঠামো অপসারণের কাজ চলছে।সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছটপুজোর আগেই গঙ্গার ঘাট সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও সুষ্ঠুভাবে প্রস্তুত রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।