আর কয়েকদিনের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলার উপকূলে। কালীপুজোর আগে দুর্যোগের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসতেই তাই সতর্ক প্রশাসন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় বাংলা ও ওড়িশার উপকূল দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। এই আবহে সেই সময় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। তার আগে উপকূল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ও করতে হবে। এদিকে এই ঘূর্ণিঝড়টি যদি পরবর্তীকালে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে সেখানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তাহলে ফের ডিভিসি জল ছাড়তে পারে বাঁধগুলি থেকে। এর জেরে আবারও বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। (আরও পড়ুন: ২৩ তারিখ সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়, বাংলার কোথায় কবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি?)
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের ঘটনায় আদৌ ধর্ষণ করা হয়েছিল তরুণীকে? সামনে হাড়হিম করা তথ্য
আরও পড়ুন: আরজি কর আন্দোলনে যোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, দাবি ডিএ আন্দোলনকারীদের
এই আবহে দুর্যোগ ঠেকাতে সব জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। এই নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর নবান্নে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিককে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধগুলি কেমন রয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ শিবির খুলতে বলা হয়েছে। এলাকাবাসী ও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। (আরও পড়ুন: ৩ বছর বয়সিকে যৌন নিগ্রহ কাটোয়ায়, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে মিলল রক্তের দাগ)
আরও পড়ুন: বেসিকের ১০০% পর্যন্ত অতিরিক্ত 'ভাতা' মিলবে এবার, নির্দেশিকা জারি সরকারের
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ-অভিজিতের 'কীর্তি' ফাঁস, CBI-এর হাতে 'মুছে ফেলা' প্রমাণ
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় দানা। মৌসম ভবন জানিয়ে দিল, বর্তমানে উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। সেটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়টি। এর জেরে আগামী কয়েকদিন সাগর উত্তাল থাকবে। মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের ওপরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। সেই সিস্টেমটি ২২ অক্টোবর আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর পূর্মমধ্য বঙ্গোপসাগরেই সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৮ অগস্টের রাতে সঞ্জয়ের সঙ্গে কেউ দেখা করেছিল? CBI-এর হাতে নয়া ফুটেজ
এই ঘূর্ণিঝড়টি এরপর উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছবে। পরে ২৪ অক্টোবর সকালে ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ে পারে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে। এর জেরে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সাগরে ১১০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।