নির্বাচনের পর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসা। এই আবহে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে নাকি শয়ে শয়ে মানুষ গিয়ে অসমে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে ১৪ মে অসমের রণপাগলি এবং শ্রীরামপুরের 'শরণার্থী শিবির' পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এর আগে বৃহস্পতিবার শীতলকুচি পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে যাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুধু শীতলকুচিই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। এর পরদিন, অর্থাৎ শুক্রবার তিনি অসমে যাবেন ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল। আক্রান্তদের সঙ্গে কথাও বলবেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কোচবিহার সফরের জন্য রাজ্যের কাছে একটি হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা তিনি পাননি। পরে বিএসএফের হেলিকপ্টারে কোচবিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এর আগে অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ৪০০ বিজেপি কর্মী এবং তাদের পরিবার অসমে চলে এসেছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রিপোর্ট তলব করেছিলেন।
বিজেপির তরফে অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের কর্মীদের হত্যা করেছে৷ শুধু তাই নয়, বাড়ির মহিলা সদস্যদের উপর হামলা, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, লুটপাট কোনও কিছুই বাদ দেয়নি তারা৷ বিজেপির দাবি, রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় তাদের বহু কর্মীর মৃত্যু হয়েছে৷ এই আবহে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ জন বিজেপি কর্মী তাদের পরিবারসহ অসমে পাড়ি দেন ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে। এখনও সেখানেই রয়েছেন তাঁরা।