শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্যের স্বীকৃতি এল কেন্দ্রের কাছে থেকে। সংখ্যা চেনার মানদণ্ডের নিরিখে দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে বাংলা। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে নূন্যতম মান রয়েছে তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের পড়ুয়ারা।
রবিবার টুইট করে এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে এই সমীক্ষাটি করেছে এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশননাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং)। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই রাজ্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। টুইটে মুখ্যমন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য শিক্ষক, পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এনসিইআরটি একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহারে মতো রাজ্যগুলিতে পড়ুয়ারা সংখ্যা চেনা যোগ-বিয়োগ এবং প্রাথমিক হিসাব কষতে দক্ষ। এই তালিকা শীর্ষে বাংলার পড়ুয়ারা।
অন্য দিকে তামিলনাড়ু, জম্ম ও কাশ্মীর, অসম এবং গুজরাতের পড়ুয়ার সাধারণ সংখ্যা চেনা এবং যোগ বিয়োগের মতো প্রাথমিক হিসাব করতে পারে না। দেশ জুড়ে ১০ হাজারটি রাজ্য সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, বেসরকারি স্বীকৃত এবং কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির প্রায় ৮৬ হাজার পড়ুয়াকে নিয়ে সমীক্ষা চলানো হয়েছিল। সংখ্যা শনাক্তকরণ, সংখ্যার পার্থক্য, যোগ, বিয়োগ, ভাগ, এবং গুণ, ভগ্নাংশ, এবং সংখ্যা বিচারের ক্ষেত্রে দক্ষতার উপর দাঁড়িয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। মোট এটি ২০টি ভাষায় পরিচালিত হয়েছে এই সমীক্ষা।
এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে হাই কোর্টের একের পর এক রায় রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষার মান নিয়েও। বিরোধীরাও রাজ্য সরকারকে দিবারাত্র তুলোধোনা করছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষার মান নিয়ে কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।