রাজনৈতিক তোলপাড়ে ফুটছে বাংলাদেশ। সোমবার সকালেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি পৌঁছন ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্ডোন বিমানবন্দরে। একটা সময় পর্যন্ত জল্পনা ছিল, বাংলাদেশ ছেড়ে সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গে আসছেন হাসিনা। মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবে রাজ্য। এদিকে, বাংলাদেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে একের পর এক পোস্ট হতে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশ সংক্রান্ত পোস্ট নিয়ে এবার সতর্ক করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সাফ জানিয়েছে,' প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট এবং ভিডিও আমাদের নজরে এসেছে যা বিভেদ এবং অশান্তি তৈরি করতে পারে। অনুরোধ, কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না, উত্তেজক ভিডিও শেয়ার করবেন না।' পাশাপাশি বলা হয়,' রাজ্য প্রশাসন সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।'
(চিন সফর শেষে হাসিনা দেশে ফেরার কিছু পর থেকেই কোটা আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ হয় বাংলাদেশ, ঘটনাক্রম দেখে নিন)
এদিকে, আজ বিকেল নাগাদ গাজিয়াবাদের হিন্ডোন এয়ারবেসে পৌঁছন শেখ হাসিনা। তিনি দুপুরের দিকে বাংলাদেশ থেকে এক হেলিকপ্টারে রওনা হলে বলে একটি ভিডিয়োয় উঠে আসে। হাসিনা বাসভবন ছাড়তেই, তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে জনতা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে লুঠ হয় বহু সামগ্রী। পুকুরের মাছ থেকে ঘরে রাখা মদ, শাক, সবজি লুঠ করে জনতা। এদিকে, বাংলাদেশ থেকে হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে রওনা হয় হেলিকপ্টার। অন্যদিকে খবর আসতে থাকে, সি১৩০ বাংলাদেশের বিমান ভারতের দিকে আসে। ভারতের আকাশ সীমায় তা প্রবেশ করতেই তৎপর হয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান আকাশপথে ধেয়ে যায়। কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৈরি ছিল সেনা। শেষমেশ হিন্ডোন এয়ারবেসে পৌঁছন হাসিনা। সেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এদিকে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত আটোসাঁটো করা হয় সীমান্ত। বিএসএফকে রাখা হয় অ্যালার্টে। অন্যদিকে, পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অবহিত করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সব মিলিয়ে হাসিনার ভারত প্রবেশে, সরগরম দিল্লি থেকে কলকাতা।