আর ক'দিন পরই রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে, সব স্কুলেই প্রায় উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে, তাদের নিয়ে, যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় টেস্টে কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের নিয়ে। ২০২৫ সালে শেষবারের মতো পুরনো পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা হচ্ছে। তার আগে, ২০২৪ সালে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকে। প্রশ্ন উঠছে, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার টেস্টে, তারা এরপর কোন সিলেবাস বা পাঠ্যক্রম অনুযায়ী পড়বে? পুরনো নাকি নতুন?
প্রশ্ন শুধু পাঠ্যক্রম বা সিলেবাস নিয়ে নয়। প্রশ্ন রয়েছে পরীক্ষার প্যাটার্ন নিয়েও। ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে যারা অনুত্তীর্ণ তাদের কি আবার সেমেস্টার পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিতে হবে? ‘আনন্দবাজারের’ রিপোর্ট বলছে, বহু স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবারের উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের আবার টেস্ট নেওয়া হচ্ছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতীম বৈদ্যের কথায়, তাঁদের স্কুলে ২ পডুয়া অনুত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের নতুন নাকি পুরনো পাঠ্যক্রমে পড়তে হবে, তা তাঁরা এখনও জানেন না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন,'তবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সব সময় পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেয়। আরেকবার পুরনো পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে ভালোই হয়।' তিনি জানান শুধু টেস্টেই নয়, উচ্চমাধ্যমিকেও কেউ উত্তীর্ণ না হতে পারলে, এই একই সমস্যা তৈরি হবে।
চলতি বছরে শেষবারের মতো পুরনো পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে। ২০২৬ সাল থেকে নতুন পাঠ্যক্রম। সেক্ষেত্রে এই অনুত্তীর্ণদের জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে? উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এখনও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্তে আমরা আসিনি। তবে যারা এবারের টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের নতুনের সঙ্গে পুরনো পাঠক্রমেও পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। সেটা হলে যার যে পদ্ধতিতে সুবিধা, সেই পদ্ধতিতেই পরীক্ষা দিতে পারবে।’ তিনি জানান, দ্রুত জানানো হবে অনুত্তীর্ণেরা কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেবে।