প্রোক্টার্ড-৩ ভিত্তিক অনলাইন ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে এবং উচ্চশিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে চলতি বছর জেআইএস শিক্ষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত পাঁচটি কলেজের সংরক্ষিত আসনে ভরতির প্রবেশিকা পরীক্ষা - এএমপিএআই এবং সিইই এএমপিএআই (মাস্টার্স) হবে। পরীক্ষা হবে আগামী ১৮ অক্টোবর।
বি.টেক, বি.ফার্মাসি, এম.টেক, এম.ফার্মাসি, এমবিএ এবং এমসিএ ডিগ্রি কোর্সে ভরতির জন্য অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষা এবার সাত বছরে পা দিল। করোনাভাইরাস অতিমারির সময়ে চলতি বছর এই প্রথম রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অর্থাৎ কম্পিউটারের সামনে বসে যে কোনও প্রান্ত থেকে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। এবার যাঁরা রাজ্য জয়েন্ট বা জেইই (মেইন) দিতে পারেননি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি পড়ার ক্ষেত্রে তাঁরা এই পরীক্ষার মাধ্যমে আরও একবার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়া যাঁরা রাজ্যে জয়েন্ট বা জেইই মেন দিয়েছেন, তাঁরাও সিইই এএমপিএআই বা আম্পাই মাস্টার্স পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারেন। দুটি পরীক্ষার জন্যই অনলাইন এবং অফলাইন আবেদনপত্র পূরণের শেষ তারিখ ১৮ অক্টোবর (বিকেল চারটে পর্যন্ত)। পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা।
উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন প্রোক্টার্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে দুটি পরীক্ষাই যাতে সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা যায়, সেজন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। সে বিষয়ে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মৌলানা আবদুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সৈকত মৈত্র এবং পরীক্ষার কন্ট্রোলারকে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা দফতরের উপদেষ্টা কমিটি এই পরীক্ষার উপর নজর করবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৪ সাল থেকে এই পরীক্ষা হচ্ছে। শিখ সম্প্রদায়ের দ্বারা পরিচালিত জেআইএস শিক্ষাগোষ্ঠীর পাঁচটি কলেজ - কল্যাণীর জেআইএস কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সোদপুরের গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দমদমের ডঃ সুধীরচন্দ্র শূর ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং আগরপাড়ার নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মোট ১১টি বিষয়ে বি.টেক, বি.ফার্মা, আটটি বিষয়ে এম.টেক, তিনটি বিষয়ে এম.ফার্মা এবং এমবিএ ও এমসিএ-তে ভরতির জন্য এই প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বি. টেক ও বি.ফার্মার সম্মিলিত আসন সংখ্যা ৭২২ এবং এম.টেক, এমবিএ, এম ফার্ম ও এমসিএ কোর্সে ভরতির জন্য সম্মিলিত আসন ১১৭টি।
এবার রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিহার, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, অসম-সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির অনেক ছাত্রছাত্রীই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তাই সিইই আম্পাই-এর মাধ্যমে তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফার্মাসি পড়ার আর একটি ও শেষ সুযোগ পাবেন। তার ফলে অন্যান্য বছরের মতোই এবারও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হবে বলে মনে করছেন সিইই আম্পাই এবং আহ্বায়ক বিদ্যুৎ মজুমদার। প্রোক্টার্ড অনলাইন মাধ্যমে এবং রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষার সার্বিক সাফল্যের বিষয়েও তিনি আশাবাদী। পরীক্ষাদুটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.ampai.in ওয়েবসাইট থেকে। অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি অফলাইনেও আবেদন করা যাবে।
সতর্কীকরণ (ডিসক্লেমার) : এই তথ্যাদি প্রস্তুত করেছে ব্র্যান্ড সলিউশনস টিম। এই প্রবন্ধ লেখার কাজে HT Media-র কোনও সাংবাদিক নিযুক্ত ছিলেন না। এই প্রবন্ধে লেখা তথ্যের সত্যনিষ্ঠতা, প্রাসঙ্গিকতা, যথার্থতা, বৈধতা নিয়ে কোনও দাবি করে না HT Media।