গালওয়ান উপত্যকায় দু'দেশের সেনার মধ্যে 'শারীরিক দ্বন্দ্ব'-এর যাবতীয় দায় ভারতের উপর চাপাল চিন। তাদের দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ বরাবর উত্তেজনার প্রশমনের জন্য একটি বৈঠকের সময় ভারতীয় সেনা প্ররোচনা দিয়েছে এবং চিনা সেনার উপর হামলা চালিয়েছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সেই হাতাহাতির সময় কোনও ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে অবহিত নয় বেজিং। চিনা সেনার কেউ মারা গিয়েছেন কিনা, তা নিয়েও মুখ খোলা হয়নি।
মঙ্গলবার ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে 'হিংসাত্মক হাতাহাতি'-তে প্রাণ হারিয়েছেন তিন ভারতীয় জওয়ান। মৃত্যু হয়েছে চিনা জওয়ানদেরও।
বিষয়টি নিয়ে দৈনন্দিন সাংবাদিক বৈঠকে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান দাবি করেন, হাতাহাতি সম্পর্কে নিয়ে তিনি কিছু জানেন না। তাঁর কথায়, 'আপনারা যে তথ্য দিলেন, সে বিষয়ে আমি জানি না। চিন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনার কমানোর জন্য গত ৬ জুন সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে চিন এবং ভারতের যোগাযোগ হয়েছিল।'
তারপরই আক্রমণাত্মক সুরে গালওয়ানে হাতাহাতির যাবতীয় নয়াদিল্লির উপর চাপান বেজিংয়ের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, 'সীমান্ত পরিস্থিতির (পড়ুন উত্তেজনা) কমানোর জন্য আমাদের সীমান্ত বাহিনী উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিল এবং ঐক্যমতে পৌঁছেছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে গত ১৫ জুন ভারতীয় বাহিনী গুরুতরভাবে আমাদের ঐক্যমতকে লঙ্ঘন করে এবং অবৈধ কাজকর্মের জন্য দু'বার সীমান্তরেখা অতিক্রম করে এবং চিনা জওয়ানদের প্ররোচিত করে এবং আক্রমণ চালায়। তার ফলে দু'পক্ষের মধ্যে গুরুতর শারীরিক দ্বন্দ্ব হয়।'