করোনাভাইরাসের আক্রান্ত বাবাকে আলাদা রাখা হয়েছিল। সেই সময় কার্যত অনাহারে ছিলেন সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত ইয়ান চেং। তার জেরেই বছর সতেরোর ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি চিনের হুবেই প্রদেশের।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসের উপসর্গ কী কী ? অসুখই বা কীভাবে রুখবেন? হেল্পলাইন চালু কেন্দ্রের
গত বছরের শেষের দিকে চিনে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মারণভাইরাসে আক্রান্ত হন হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা ইয়ান শিয়াওয়েনও। সেজন্য গত ২২ জানুয়ারি তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া যায়। বাড়িতে ছিলেন তাঁর ছেলে চেং। বছরকয়েক আগেই তাঁর মায়ের মৃত্যু গিয়েছে। তারপর থেকে বাবার পরিচর্যাতে থাকতেন বছর সতেরোর ওই কিশোর। হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারতেন না। বাবা চলে যাওয়ার পর একেবারে একা হয়ে যান।
আরও পড়ুন : ৪৮ ঘণ্টাতেই করোনা-ভাইরাস 'নিরাময়', দাবি থাইল্যান্ডের চিকিৎসকদের
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ২৯ জানুয়ারি বাড়ি থেকে চেংয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই সাতদিনে চেংকে মাত্র দু'বার খাওয়ানো হয়েছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন : করোনাভাইরাস রুখতে ব্যর্থ, স্বীকার চিনের, SARS-এর থেকেও বেশি মৃত্যু
ঘটনাটি সামনে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে চিনা প্রশাসন। চাপের মুখে পড়ে স্থানীয় মেয়র ও কমিউনিস্ট পার্টি সেক্রেটারি বহিষ্কৃত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মানেসর ক্যাম্পে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ, পাঠানো হল সেনা হাসপাতালে