আগামী ২০ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটলেও কোনওভাবে সেই রাশ আলগা করতে রাজি নয় কেন্দ্র। সেজন্য যেমন কয়েকটি ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে, তেমনই বাধ্যতামূলকভাবে কয়েকটি সুরক্ষাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: শ্রমিকদের জন্য কোনও ট্রেন চালাবে না রেল, বর্ধিত লকডাউনে বাতিল হবে ৩৯ লাখ টিকিট
প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের মধ্য-শেষ ভাগ থেকেই বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহারের উপরে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বাইরে বেরোলে অবশ্যই বাড়িতে তৈরি মাস্ক পরার আর্জি জানিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মাস্ক পরার বিষয়ে আরও কড়া হল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় টানা ২৮ দিন করোনা আক্রান্তের হদিশ না পাওয়ার অর্থ কী?
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউনের যে বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা আবশ্যিক। প্রকাশ্যে ও কর্মক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন : করোনা রুখতে বাড়িতেই মাস্ক তৈরি করুন, শিখে নিন ধাপে ধাপে পদ্ধতি
পাশাপাশি মদ, গুটখা, তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্র। প্রকাশ্যে থুতু ফেললে জরিমানার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্বের উপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রকাশ্য (পাবলিক প্লেস), কর্মক্ষেত্র ও পরিবহনে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে পাঁচজন বা তার বেশি জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্র। বিয়ে বা শেষকৃত্যের মতো জমায়েতের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক।
আরও পড়ুন : ৩ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে বন্ধ সমস্ত ক্রীড়া ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
একইসঙ্গে করোনার মোকাবিলায় যাবতীয় হাইজিন ও স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় বিধি মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সেজন্য স্যানিটাউজার ব্যবহার, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়মভঙ্গ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেন্দ্র।