গোরুর পরিচর্যা করলে জেলের বন্দিদের অপরাধ মনস্কতা হ্রাস পায়। শনিবার এই দাবি করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
ওই দিন ‘গো-বিজ্ঞান’ প্রসারে নিবেদিত সংস্থা গো-বিজ্ঞান সংশোধন সংস্থা আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সংঘ প্রধান বলেন, ‘গোরু হল বিশ্বজননী। সে মাটি উর্বর করে, পশু-পাখিদের তো বটেই মানুষকেও পুষ্টি জোগায় এবং অসুখ-বিসুখ থেকে তাদের রক্ষা করে আর মানুষের মন ফুলের মতো কোমল করে।’
এতেই না থেমে ভাগবত বলেন, ‘জেলে যখন গোশালা তৈরি হল এবং কয়েদিরা গোরুর পরিচর্যা শুরু করলেন, কর্তৃপক্ষ দেখতে পেলেন যে ওই বন্দিদের অপরাধ মনস্কতা কমতে শুরু করেছে। আমি আপনাদের এই সব জেল আধিকারিকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই বলছি।’
সংঘ প্রধানের পরামর্শ, গোরু সংরক্ষণের কাজে গোটা সমাজ শামিল হোক। শুধু তাই নয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত গোরুর গুরুত্ব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সারা বিশ্বকে জানানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ভাগবত।