কাবুলে পাকিস্তানের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালাল তালিবান। যে মিছিল থেকে মহিলা এবং পুরুষরা ‘পাকিস্তানের মৃত্যু, আজাদি’ স্লোগান তুলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভের মধ্যেই কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে তালিবান।
রয়টার্স জানিয়েছে, তালিবানের হাতে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নামেন শয়ে শয়ে মহিলা এবং পুরুষ। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো ছিল। তাঁরা কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। করেন মিছিল। সঙ্গে স্লোগান ওঠে, ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘পাকিস্তানের মৃত্যু (হোক)’। যে পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে তালিবানকে পাকিস্তান সমর্থনও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ স্বীকার করেছে তালিবান।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘পাকিস্তান, পাকিস্কান, আফগানিস্তান।’ বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা মোটেও পুতুলের মতো কোনও সরকার চান না। বরং সার্বিক গ্রহণযোগ্য সরকার চান। পাকিস্তানের দূতাবাস কর্মীদেরও তাঁরা আফগানিস্তান ছাড়তে বলেন। তারইমধ্যে কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান। যাঁরা ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলেছিলেন। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, সংস্থার ক্যামেরাম্যানকে আটকে রেখেছে তালিবান। তাঁর ক্যামেরা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের ভিডিয়ো তুলে ধরে রয়টার্স জানিয়েছে, গুলির চালানোর পরই বিক্ষোভকারীদের আতঙ্ক ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। আতঙ্কিত এক মহিলা স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তালিবানি সরকার 'আমাদের মতো গরিব মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।' প্রাথমিকভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।