প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আততায়ীর গুলিতে নিহত হলেন বিশ্ব হিন্দু মহাসভার নেতা রণজিত্ বচ্চন। রবিবার সকালের ঘটনায় লখনউয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে এক সঙ্গীকে নিয়ে শহরের হজরতগঞ্জ এলাকায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন আদতে গোরক্ষপুরের বাসিন্দা বচ্চন। সেন্ট্রাল ড্রাগ রিসার্চ ইনস্টিটিইট ভবনের সামনে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় চলন্ত মোটরবাইকের পিছনে বসা দুই দুষ্কৃতী।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বচ্চনের। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর সঙ্গীকে ভরতি করা হয়েছে কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (KGMU) হাসপাতালে। সেখানে তিনি য় সাড়া দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় তদন্তকারী দলের প্রধান পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, গুলি করার আগে দুষ্কৃতীরা বচ্চনের গলার সোনার চেন এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ধস্তাধস্তির সময় তারা বচ্চনের মাথা নিশানা করে গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি মারা যান।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য লখনউ) দীনেশ সিং বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের দল। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীরা দ্রুত ধরা পড়বে।’
সাম্প্রতিক কালে লখনউতে এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠনের নেতাকে হত্যা করা হল। গত অক্টোবর মাসে খুরশেদ বাগ অঞ্চলে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান হিন্দু সমাজ পার্টি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কমলেশ তিওয়ারি।