বিদেশি মুদ্রার অবৈধ লেনদেন, দেশের বাইরে বিদেশি মুদ্রা গচ্ছিত রাখা-সহ রফতানির খরচ হিসেবে দেখিয়ে ৭,২২০ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এই অভিযোগে বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় কলকাতার শ্রী গণেশ জুয়েলারি এবং সেটির তিন প্রোমোটারকে নোটিশ পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় কারচুপির অভিযোগে যে নোটিশ পাঠানো হয়, তাতে সবথেকে বেশি মূল্যের কারচুপির ঘটনা এটি।
সোমবার কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নীলেশ, উমেশ এবং কমলেশ পারেখ দাগী অপরাধী বলে তদন্তে উঠে এসেছে। নীলেশের বিরুদ্ধে সিবিআই, ডিরেক্টরেক্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, স্পেশাল ইকোনমিক জোন, ইডি, এমনকী আন্তর্জাতিক সংস্থায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইস্ট ফিট জুয়েলারি প্রাইভেট লিমিটেড নামে পারেখদের অপর একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অঙ্কটা ২৫০ কোটি টাকার বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির তালিকার প্রথম একশোয় রয়েছে গণেশ জুয়েলারী হাউস লিমিটেড। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে'তে নীলেশকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।