সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অন্তর্তদন্তের আবেদন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার হাই কমিশনের (UNHRC) উদ্যোগের কঠোর সমালোচনা করল বিদেশ মন্ত্রক।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভারতের সার্বভৌমিকতায় হস্তক্ষেপকারী কোনও বিষয় নিয়ে বিদেশি কোনও রাষ্ট্র পদক্ষেপ করবে না। আমরা পরিষ্কার জানিয়েছি যে সিএএ-এর সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে এবং আমাদের সাংবিধানিক নীতির সমস্ত শর্ত মেনে তা রূপায়ণ হয়েছে। দেশভাগের দুঃখ থেকে উত্সারিত দুঃখের প্রেক্ষিতে মানবাধিকারের প্রতি আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি জাতীয় দায়বদ্ধতার প্রতিফলন ঘটেছে এই আইন প্রণয়নে।’
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমরা চূড়ান্ত শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাশীল। আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের দৃঢ় এবং আইনত স্থায়ী অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দেশে পৌঁছেছিলেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই পাশ হয়েছে সিএএ। এই আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।