সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ঘিরে এবার উত্তপ্ত হল মেঘালয়। সিএএ ও ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) সংক্রান্ত বৈঠকের সময় খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) এবং অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। মৃত্যু হয় একজনের। সেজন্য মেঘালয়ের ছ'টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা গয়েছে।
আরও পড়ুন : বন্দে মাতরম স্লোগানে শেষ বিদায় IB অফিসার অঙ্কিতকে, উঠল CAA পন্থী স্লোগানও
শুক্রবার পূর্ব খাসি হিলস জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ইছামতীতে সিএএ-বিরোধী ও আইএলপি-পন্থী বৈঠক ছিল। দুপুর তিনটে নাগাদ দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় একটি খড়ের গাদা পুড়িয়ে দেয় কেএসইউ সমর্থকরা। একটি বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পালটা কেএসইউ সমর্থকদের বাসে পাথর ছোড়ে অ-জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।
আরও পড়ুন : দিল্লির হিংসার মধ্যে সম্প্রীতির নজির, মুসলিম বিয়ের কার্ডে গণেশ,রাধা-কৃষ্ণের ছবি
ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় লুরশাই হাইনিউতা (৩৫) নামে এক ট্যাক্সিচালকের। যিনি ইছামতী বাজারে কেএসইউ সমর্থকদের নিতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : দিল্লি হিংসা থেকে ফায়দা তুলে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টায় আইসিস
ঘটনার পর শিলং ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। মেঘালয়ের ছ'টি জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনে পাঁচটির বেশি মেসেজ পাঠানো যাবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। তবে এদিন সকালে শিলং থেকে কার্ফু প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।