যতটা গর্জেছিল, ততটা বর্ষাল না। এককথায় কংগ্রেসের ডাকে দিল্লিতে বিরোধী বৈঠকের এটাই নির্যাস হয়ে রইল।
আরও পড়ুন : এনআরসি হলে কী কী নথি লাগবে? জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ভারত বনধের দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বৈঠকে যাবে না। সেই তালিকায় নাম লেখায় আপ ও বিএসপি। বৈঠকে যাওয়া নিয়ে গড়িমসি করছিলেন অখিলেশ যাদব। শেষপর্যন্ত আজ দুুপুর যখন বৈঠক শুরু ছিল, তখন গরহাজিরের তালিকায় বেশ দীর্ঘ থাকল। তৃণমূল, আপ ও বিএসপির মতো শিবসেনা, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টিও বৈঠকে যোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন :রাস্তায় ক্রিকেট-দাবা, দেখে নিন কলকাতার বনধ চিত্র
অথচ মূলত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি)-সহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিরোধীদের সমন্বয় গড়ে তোলাই ছিল বৈঠকের মূল্য লক্ষ্য। সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিং-সহ ২০ টি দল উপস্থিত থাকলেও তাল কেটেছে বৈঠকের।
আরও পড়ুন NPR-NRC-এর মধ্যে ফারাক কী? কেন বিরোধিতা রাজ্যের? জানুন খুঁটিনাটি
তবে সবথেকে বড় ধাক্কা এসেছে ডিএমকের অনুপস্থিতিতে। সেনা ও সমাজবাদী পার্টি দোটানায় থাকলেও এম কে স্টালিনের দলের উপস্থিতির বিষয়ে আশাবাদী ছিল কংগ্রেস। বিশেষত কেন্দ্রের সরকারের থেকে দূরত্ব তৈরির জন্য এআইডিএমকের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে ডিএমকে। এই পরিস্থিতিতে তাদের কোনও প্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে ভ্রূ কুঁচকেছে অনেকেরই।
আরও পড়ুন : বিরোধীদের গুজব, দেশজুড়ে NRC নিয়ে আলোচনা করেনি সরকার,দাবি প্রধানমন্ত্রীর
বৈঠকে বিরোধীরা একটি প্রস্তাবনা গ্রহণ করে। তাতে বিভিন্ন ইস্যুতে মোদী সরকারকে আক্রমণ করা হয়। বলা হয়, 'মোদী সরকারের আমলে অর্থনৈতিক অব্যবস্থার কারণে দেশের বড় অংশের মানুষের জীবনযাত্রা মান দ্রুত হারে কমছে। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়।' ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) নিয়েও সরকারকে তোপ দেগেছেন সোনিয়া গান্ধীরা। অবিলম্বে সিএএ প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পাশাপাশি এনআরসি ও এনপিআর প্রক্রিয়াও বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেন বিরোধীরা।