স্বামীকে খুন করার পরে শোবার ঘরের মেঝে খুঁড়ে তাঁর দেহ পুঁতে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামের এক বধূ।
পুলিশ জানিয়েছে, ত্রিপুরার ধলাই জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের বছর একুশের বধূ কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ার পরে আমবাসা শহরের কোভিড কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তাঁর একটি সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ১৩০ কিমি দূরের গন্ডাচেরা গ্রামে স্বামী সঞ্জিত রিয়াংকে (৩০) খুন করার পরে কাঁচা মাটির মেঝে খুঁড়ে দেহ পুঁতে ফেলেন ওই বধূ। দেহটি উদ্ধারের পরে মৃতের কপালে গভীর ক্ষত আবিষ্কার করেছে পুলিশ। ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
গন্ডচেরা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতী ত্রিপুরা নামে অভিযুক্ত বধূকে গ্রেফতারের পরে অনলাইনে আদালতে তোলা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দীর্ঘল দিন ধরে ওই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া চলেছিল। গটনার দিনও তাঁদের মধ্যে কাজিয়া হয়। কথা কাটাকাটির মাঝেই স্বামীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেন ভারতী। এর পর মৃত স্বামীকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে তিনি পুঁতে দেন।