দুর্ঘটনা নয়, বরং তাঁদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনীয় বিমান। আজ ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে ইরানের সেনা। যদিও তা অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছে বলে দাবি তেহরানের।
আরও পড়ুন :১৮০ যাত্রীসহ ইউক্রেনীয় বিমান ভেঙে পড়ল ইরানে
সেনার দাবি, রেভোলিউশনারি গার্ডের স্পর্শকাতর ছাউনির দিকে বিমানটি ঘুরেছিল। ভুলবশত সেটিকে সম্ভাব্য বিপদ হিসেবে মনে করা হয়। বিবৃৃতিতে দাবি করা হয়, 'এরকম পরিস্থিতিতে মানুষের ভুলে অনিচ্ছাকৃভাবে বিমানে (ক্ষেপণাস্ত্র) ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন : দেখুন ভিডিও: ইরানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, মৃত ১৮০
ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে সেনা জানিয়েছে, এরকম 'ভুল' এড়াতে ভবিষ্যতে তাদের পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও জোর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে তেহরান।
আরও পড়ুন : ব্ল্যাকবক্স দিতে নারাজ তেহেরান, ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় ফের উঠছে নাশকতার তত্ত্ব
'অনিচ্ছাকৃত ভুল'-এর জন্য মৃতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রৌহানি ও বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। টুইটারে রৌহানি লেখেন, 'এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও অমার্জনীয় ভুলের জন্য (দোষীদের) বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এই অমার্জনীয় ভুলের ইরান ক্ষমাপ্রার্থী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।' :
জারিফ টুইটারে বলেন, 'শোকের দিন। সেনার আভ্যন্তরীণ তদন্তের প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে উত্তেজনার আবহের মধ্যে মানুষের ভুলের কারণে এই বিপর্যয় হয়েছে।'
তেহরানের এই স্বীকারোক্তির পর ঘরোয়াভাবে চাপ বাড়বে বলেই মত কূটনৈতিক মহলের।কারণ দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানিয়ান ছিলেন।কূটনৈতিকদের মতে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জেরে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল ইরানে। কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পর তা প্রশমিত হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর নতুন করে ক্ষোভ বাড়বে দেশের মানুষের মনে।
প্রসঙ্গত, বুধবার কিয়েভে যাওয়ার পথে তেহরানের কাছে ভেঙে পড়ে ইউক্রেনের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। মৃত্যু হয় ৯ জন বিমানকর্মী-সহ ১৭৮ জন যাত্রীর। ঘটনার পর বিমানের ব্ল্যাকবক্স দিতে অস্বীকার করে ইরান। যদিও একটি অংশ থেকে বলা হচ্ছিল, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছে বিমানটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ঘুরিয়ে সেই দাবি করেছিলেন। এরইমধ্যে কোনও রাখঢাক না করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে। তবে তা অনিচ্ছাকৃত ছিল। ইংল্যান্ডও একই দাবি করছিল। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল তেহরান।