লকডাউনে সশরীরে উপস্থিত থাকা অসম্ভব বলে অনলাইন সম্প্রচারে বাবার অন্ত্যেষ্টি দেখলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার পর সারাদিন ব্যস্ত থাকলেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের কাজে।
সোমবার নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে মারা যান আদিত্যনাথের বাবা আনন্দ সিং বিস্ত। মঙ্গলবার হরিদ্বারে তাঁর শেষকৃত্যের দৃশ্য সরাসরি দেখতে ইন্টারনেটের সাহায্য নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আদতে সন্ন্যাসী। জাগতিক শোক তাঁকে স্পর্শ করে না। তার উপর তার উপর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের গুরুভার তাঁরই কাঁধে। দাহকাজ মিটতে তাই সংক্রমণ প্রতিরোধের বিবিধ ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হল যোগীকে। করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকের আগে অবশ্য প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দুই মিনিটের নীরবতা পালন করলেন পদস্থ আধিকারক ও সচিবরা।
বৈঠকে লকডাউন কবলিত উত্তর প্রদেশের আশ্রয় শিবিরের অবস্থা, যৌথ হেঁশেল ব্যবস্থা, হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা ও খাদ্যশস্য বণ্টন সম্পর্কে আধিকারিকদের থেকে সবিস্তার রিপোর্ট জানেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করিয়ে দেন, সব আশ্রয়শিবির ও যৌথ হেঁশেল যেন নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হয়। হোম ডেলিভারি কর্মীদেরও নিয়মিত স্যানিটাইজ করার কথা তিনি বলেন।
এ ছাড়া রমজানের মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি যেন যথাযথ পাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও তিনি আধিকারিকদের সচেতন করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে লকডাউন পরিস্থিতিতে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা মানার বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।