টানা সাত মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে নিয়মিত ক্লাস শুরু হল অসমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারও আজ থেকে খুলে দেওয়া হল। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সরকারি নির্দেশিকা মেনেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দিল রাজ্যের বিজেপি সরকার।
নির্দেশিকায় এক গুচ্ছ নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে তার ওপরের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা বাবা মায়ের লিখিত অনুমতি নিয়ে স্কুলে যেতে পারবে। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির নিচের শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে পারবে না।
বিদ্যালয়ের সমস্ত শ্রেণির জন্য একটি বিজোড়-বিজোড় ব্যবস্থা এবং বিক্ষিপ্ত সময়সূচি অনুসরণ করা হবে। ষষ্ঠ, অষ্টম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণির ক্লাস হবে সম, বুধ, শুক্রবার। সপ্তম, নবম, একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি বার।
শিক্ষার্থীদের দুটি ব্যাচে স্কুলে যেতে হবে। প্রথম ব্যাচের ক্লাস হবে সকাল ৮ টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হবে বেলা সাড়ে বারোটায়। শেষ হবে বিকেল সাড়ে তিন টে য়। পড়ুয়ার সংখ্যা ২০ জনের কম হলে একটা ব্যাচেই তাদের ক্লাস নেওয়া যাবে।
শিক্ষক শিক্ষার্থী সকলের জন্যই মাস্ক বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজার, ও ৬ ফুটের দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে।
নির্দেশিকায় আরো বলা হয়, যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে যেতে চায় না তাদের জন্য অনলাইন ক্লাস জারি থাকবে। প্রতি সপ্তাহের শেষে স্কুল স্যানিটাইজ করতে হবে। প্রতিদিন থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
সরকারি স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল পরিবেশনের ক্ষেত্রেও নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ব্যাচের জন্য মিড ডে মিল দেওয়া হবে বেলা সাড়ে এগোরটা থেকে বারোটা পর্যন্ত। আর বেলা ১২:৩০ থেকে ১ টা পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হবে দ্বিতীয় ব্যাচকে। রাঁধুনি ও সহয়কদের RT-PCR টেস্ট করিয়ে তবেই রান্নার অনুমতি দিতে হবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই টেস্ট করাতে হবে।
স্কুল বাসগুলিতে মোট আসনের এক তৃতীয়াংশ ভরতি করা যাবে।
স্কুলে যদি কোনও এক জন করোনা আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে rapid antigen tests (RAT) এর পরের দিন স্কুল খোলা যাবে। একাধিক জন কভীদ আক্রান্ত হলে স্কুল এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে এবং পুরো স্কুল চত্বর স্যানিটাইজ করার পর স্কুল খুলবে।