কাজ আর কাজ। একদিকে বাংলায় কোটি কোটি বিনিয়োগের কথা শোনা যাচ্ছে। এবার পাশের রাজ্য ত্রিপুরার জন্য বিরাট চাকরির সুযোগ। ত্রিপুরায় অন্তত ১০০০০ চাকরি হতে পারে বলে খবর। দুর্গা পুজোর আগেই ত্রিপুরায় এই নিয়োগ হতে পারে। মনে করা হচ্ছে অক্টোবর মাসেই এই নিয়োগ হতে পারে। দাবি করা হচ্ছে যে গত এক দশকে ত্রিপুরায় এত নিয়োগ আগে কোনওদিন হয়নি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রীর দফতরের সূত্র মারফৎ এই সংবাদপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এর আগে দফায় দফায় চাকরি দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায়। কিন্তু একেবারে এত চাকরি শেষ কবে হয়েছে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। দীর্ঘদিন ধরে বামেদের দখলে ছিল ত্রিপুরা। এরপর বর্তমান সেই ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে বিজেপি। এদিকে এই ত্রিপুরাতেই ১০,৩২৩জন স্কুল শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশেই তাঁদের চাকরি গিয়েছিল। এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে ও শিক্ষামহলে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আর এবার ত্রিপুরায় অন্তত ১০,০০০ চাকরির সুযোগ।
এদিকে বর্তমানে ত্রিপুরার মুখ্য়মন্ত্রী মানিক সাহা। নানা সময়ে তিনি রাজ্যে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই মতো শূন্যপদে লোকজন নেওয়া হয়েছে। তবে এবার ফের বড় নিয়োগ হবে ত্রিপুরায়। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া বইবে।
এই পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২০১৮-২০২৪ এই সময়কালের মধ্য়ে সব মিলিয়ে ১৩,৬৬১টি শূন্যপদে লোক নিয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে গ্রুপ এ পদে প্রায় ৯৯জনকে নিয়োগ করা হয়। ২০১৯-২০তে চারজনকে, ২০২০-২১এ ৪০জনকে, ২০২১-২২ সালে ২২৩ জনকে, ২০২২-২৩ সালে ১৪৭জনকে ও ২০২৩-২৪ সালে ২৮জনকে নিয়োগ করা হয়।
গ্রুপ সি পদে ২০২৩-২৪ সালে ১৯৬৬জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। গ্রুপ ডি পদে ২০২৩-২৪ সালে ৭৮জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
কিন্তু বহু শূন্যপদ এখনও বাকি থেকে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর আগেই সেই শূন্যপদগুলি পূরণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সামনের মাসেই পঞ্চায়েত ভোট। তারপরই এই চাকরিগুলি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তার মধ্য়ে ত্রিপুরা পুলিশ, গ্রুপ ডি, স্পেশাল এক্সিকিউটিভ পদে বকেয়া নিয়োগগুলিকে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে ত্রিপুরায় চাকরির সুযোগ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। এর জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। সরকারি চাকরি বলে কথা!