আদৌও কি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হবে? তা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এবং দা ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট সেকেন্ডারি এডুকেশনের (সিআইএসসিই)। তবে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পরীক্ষা বাতিল, মূল্যায়নের ভিন্ন উপায় বা মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের মতো ছোটোভাবে পরীক্ষা আয়োজনের পন্থা ভাবনাচিন্তা করে দেখছে।
ইতিমধ্যে দুটি বিকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে সিবিএসই। প্রথমত, নির্দিষ্ট কেন্দ্রে শুধুমাত্র মূল বিষয়গুলির জন্য সাধারণভাবে পরীক্ষার আয়োজন করা, দ্বিতীয়ত, যে স্কুলে কোনও ছাত্রছাত্রী পড়েন, সেখানেই স্বল্প দৈর্ঘ্যের পরীক্ষা নেওয়া। সেই অনুযায়ী, আগামী ২৫ জুলাই থেকে ২৬ অগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা চলতে পারে। আর ফল প্রকাশিত হতে পারে সেপ্টেম্বরে। অধিকাংশ রাজ্যই পড়ুয়াদের নিজের স্কুলে ৯০ মিনিটের পরীক্ষার পক্ষে মত দিয়েছে। কয়েকটি রাজ্য পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের টিকাকরণেরও দাবি তুলেছে।
ওই সূত্র বলেছে, ‘অধিকাংশ রাজ্যই সিবিএসইয়ের (দ্বিতীয়) প্রস্তাবের পক্ষে আছে। তাতে বলা হয়েছে যে অগস্টের মধ্যে শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির পরীক্ষা হবে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা বাতিল এবং পূর্ববর্তী পরীক্ষার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়ার বিকল্প পথ এখনও খোলা রাখা আছে।’
ইতিমধ্যে স্কুলগুলিকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা (২০১৯-২০) এবং চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২০-২১) গড় নম্বর জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সিআইএসসিই। বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন ‘অত্যন্ত গোপনীয়’ চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী ৭ জুনের মধ্যে সেই কাজ করতে হবে। তবে সেটাই কি পরীক্ষা বাতিলের আভাস কিনা, সে বিষয়ে সিআইএসসিইয়ের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বোর্ডের সচিবও।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন এক শ্রেণির পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। যদিও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এখনও জানিয়ে যাচ্ছে, এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগামী ১ জুন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক' ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের সুরক্ষার উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এই পরীক্ষাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ।