পুজোর আগেই এল বিরাট খুশির খবর। উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট।
সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে আপাতত সবদিক ঠিক থাকলে ১৪ হাজার জনের নিয়োগ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এতদিন ধরে যে আন্দোলনকারীরা হাপিত্যেশ করে বসেছিলেন তাঁরা অত্যন্ত খুশি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে এখনই হস্তক্ষেপ করছে না সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সাল থেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নানা কারণে ঝুলে ছিল। নানা আইনি জট তৈরি হয়েছিল এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে। তবে অবশেষে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পারছেন অনেকে। অবশেষে বোঝা যাচ্ছে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও হতে পারে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না।
এদিকে সোমবারই এসএসসি উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৬ সালের মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। অস্থায়ী শিক্ষকদের জন্য় ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করা থাকবে। বাকি পদগুলিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শুধু মেধাতালিকা প্রকাশ নয়, বাস্তবে চাকরি দিতে হবে। সেটাই দেখতে চাইছেন সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত বিগতদিনে ১৪ হাজারের নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তাতেও মামলা হয়। যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল সেখানে সংরক্ষণ নীতি মানা হয়নি এই দাবি তুলে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই মামলা চলছিল। যার জেরে থমকে গিয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া।
তবে আপাতত সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল। গত প্রায় ৮ বছর ধরে এই নিয়োগ নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছিল। গত ২৮ অগস্ট বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল এসএসসিকে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই অনুসারে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। এদিকে হাইকোর্টের ওই নির্দেশের জেরে এসএসসি ১৪,০৫২টি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। কিন্তু আচমকাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। যার জেরে ঝুলে গিয়েছিল যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া।