একে তো চাকরির বাজার মন্দা। বেকারের সংখ্য়া একেবারে লাগামছাড়া। চাকরি নেই। তবে এসবের মধ্য়েই উচ্চপ্রাথমিকে চাকরির কাউন্সেলিংয়ে একটা অদ্ভূত ছবি ধরা পড়ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বহু চাকরিপ্রার্থী চাকরির সুপারিশ নিতে চাইছেন না। কাউন্সেলিংয়ে হাজির হলেন না অনেক চাকরিপ্রার্থী। এর পেছনে ঠিক কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্য়েই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বুধবার বায়ো ও পিয়োর সায়েন্স বিষয়ে স্কুল বাছাইয়ের কাউন্সেলিং ছিল। কে কোন স্কুলে পড়াতে চান সেই বিষয় নিয়ে কাউন্সেলিং। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে দুটি শাখায় সব মিলিয়ে ৭৫০জনকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে যে চিত্র ধরা পড়েছে তা জেনে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।
সেই কাউন্সেলিং সেশনে দেখা গিয়েছে, ৭৫০জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্য়ে সব মিলিয়ে ২২৭জন হাজির হননি। অর্থাৎ মোট চাকরিপ্রার্থীর ৩০.২৬ শতাংশের কোনও দেখা মেলেনি। তবে কি তাঁরা চাকরি চাইছেন না? এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে সকলকেই।
এদিকে বাংলা মাধ্য়মে যারা পড়াবেন তার কাউন্সেলিং ছিল ১১ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্য়ে। সেই দিনগুলিতে বাংলা, ইংরেজি, বায়ো ও পিয়োর সায়েন্স মিলিয়ে ৪,২৩৭জনের কাউন্সেলিংয়ে হাজিরের কথা ছিল। এদিকে সার্বিক পরিসংখ্য়ানে দেখা গিয়েছে ১০৪১জন হাজির হননি। অর্থাৎ চাকরির সুপারিশ তারা গ্রহণ করতে চাননি।
এদিকে বুধবার যে কাউন্সেলিং ছিল তার মধ্য়ে বায়ো সায়েন্সে ৩৫০জনের মধ্য়ে ১০৯জন প্রার্থী অনুপস্থিত থেকেছেন। পিয়োর সায়েন্সের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ৪০০জন প্রার্থীর মধ্য়ে ১১৮জন হাজির ছিলেন না। অর্থাৎ তাঁরা চাকরি চাননি। চাকরির সুপারিশ নিতে চাননি।
তবে সূত্রের খবর, এই কাউন্সেলিংয়ে যারা হাজির হচ্ছেন না তাদের পদগুলি একেবারে শূন্য পড়ে থাকবে এমনটা নয়। সেই পদগুলিতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে প্রার্থী নিয়ে পূরণ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, গত বছর সব মিলিয়ে ৮৯৪৫জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। তার ম্ধ্যে কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন সব মিলিয়ে ১০২৫জন।
এদিকে এবার ২৭শে নভেম্বর পর্যন্ত কাউন্সেলিংয়ের দিন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮০৯১জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য় ডাকা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কতজন হাজির হলেন, কতজন চাকরি নিতে চাইলেন না সেই হিসেবটা পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তবে অনেকের মতে, যাঁরা কাউন্সেলিংয়ে আসছেন না তাঁদের অনেকেই সম্ভবত অন্য চাকরিতে চলে গিয়েছেন। সেকারণে তারা আর কাউন্সেলিংয়ে আসতে চাইছেন না।