কর্মজীবী মহিলাদের জন্য নতুন আইন আনার কথা ভাবছে কর্ণাটক সরকার। বেতন কাটা হবে না, প্রতি বছর ছয় দিন বেতন সহ ছুটি পাবেন কর্মজীবী মহিলারা। মাসিকের সময় এই ছুটি নিতে পারবেন তাঁরা। বেসরকারি এবং সরকারি চাকরি উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে ছুটি। এই আইনটি পাস হলে, বিহার, কেরালা এবং ওড়িশার পর, কর্ণাটক হবে চতুর্থ রাজ্য, যেখানে মহিলাদের মাসিক ছুটি দেওয়া হবে।
নারীদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে আরও ভালভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য, এই আইনি বিলের নাম হবে, 'মেয়েনস্ট্রুয়াল লিভ এবং ফ্রি এক্সেস টু উইমেন টু মেনস্ট্রুয়াল হেলথ প্রোডাক্টস'। ইতিমধ্যেই এই আইন প্রণয়নের জন্য ১৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে, সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলিকেই মাসিক ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: (Wipro hybrid model: শুধু বাড়ি থেকে কাজ বন্ধ! কর্মীদের সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন অফিসে আসার নির্দেশ দিল উইপ্রো)
এ প্রসঙ্গে শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাড বলেছেন, 'আমরা প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেখছি এবং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করেছি।' এদিন শ্রমমন্ত্রী আরও বলেছেন যে কর্মজীবী নারীদের সাহায্য করার জন্যই এই উদ্যোগ। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে, মহিলারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কখন তাঁদের ছুটির প্রয়োজন, কখন নয়। এটা শুধু আধুনিকতাকে সমর্থন করে, তা নয়। বিশেষ করে বিয়ে বা সন্তান হওয়ার পর নারীরা যেহেতু অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, তাই চিন্তা করার মতো অনেক বিষয় এখনও রয়েছে বলে মনে করছেন লাড
আরও পড়ুন: (RRB NTPC 2024 Recruitment: প্রায় ১২,০০০ পদে নিয়োগ RRB NTPC-তে! কতদিন আবেদন চলবে? ফি, বেতন কত? রইল বয়সসীমাও)
যদিও, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সংসদে এই ধারণার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, মাসিক বা ঋতুস্রাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এটিকে এমন কোনও অক্ষমতা হিসাবে দেখা উচিত নয়, যার জন্য বিশেষ ছুটির প্রয়োজন। এটি সমাজে মহিলাদের পুরুষদের সমান হওয়ার সুযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। শেষ বিচারে এই নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে দেশজুড়ে। অনেকেই মনে করেন এই সুযোগ মহিলাদের দিলে অনেক জায়গায় তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে, হয়তো চাকরি পাবেন না অনেকে। তবে এই আশঙ্কাটি অমূলক বলে মনে করেন অন্যরা।