আগামী ৬ মাসে চাকরি ছাড়তে পারেন ৮৬%-এরও বেশি চাকুরিজীবী। চাকরি ও নিয়োগ সংস্থা মাইকেল পেজের সাম্প্রতিক রিপোর্টে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ৬১% কর্মীই বর্তমানে কাজের বোঝা কমাতে চান। তার জন্য বেশি টাকা বা উঁচু পদ ছাড়তেও রাজি এই কর্মীরা। মানসিক শান্তি ও সন্তুষ্টিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা।
করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই চাকরি ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে। সকলেই আরও বেশি বেতন বা কাজের বোঝা কমানো, কোনও না কোনও শর্তে চাকরি থেকে পদত্যাগ করছেন। ২০২২ সালেও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রিপোর্টে বিভিন্ন সংস্থার কাজের পদ্ধতি (হাইব্রিড, বাড়ি থেকে কাজ করা ইত্যাদি) এবং কোভিড-সম্পর্কিত নীতির কারণে কর্মীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি হচ্ছে।
কর্মীদের পদত্যাগ করার প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে কর্মজীবনের অগ্রগতি, উচ্চ বেতন, কাজের ধরণ পরিবর্তন এবং কাজের সন্তুষ্টির খোঁজ।
বেতন বৃদ্ধি, বোনাসের ক্ষেত্রে কর্মীরা যত না প্রাধান্য দেন, তার চেয়ে নিয়োগকারী সংস্থাগুলি ২৯% বেশি জোর দেয়। অন্যদিকে কোম্পানির ব্র্যান্ড এখন আর প্রার্থীদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিয়োগকারী সংস্থাগুলি এই ক্ষেত্রে ১১০% বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এই মুহূর্তে যাঁরা দেশে বেকার রয়েছেন, তাঁদের ৪৩% বলছেন যে, তাঁরা গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরেই জীবিকাহীন। 'সঠিক মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি আছে, এমন সংস্থায় চাকরি খুঁজছেন সকলে। এদিকে নামী সংস্থাগুলি থেকেই পদত্যাগের হিড়িক দেখে কেউ কেউ পিছিয়ে আসছেন,' বলা হয়েছে রিপোর্টে।
কোভিড-সম্পর্কিত নীতিতে অসন্তুষ্টি থেকে ১১% কর্মী পদত্যাগ করেছেন বা পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন।