ভারতীয় কোম্পানির সবচেয়ে কমবয়সী সিইও আদিত পালিচা। মুম্বইয়ের এই গুণী ছেলে ২০০১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মূলত আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল আদিতের, কিন্তু করোনা এসে পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। এরপর কর্মজীবন শুরুর কথা ভাবেন আদিত। দুই বছর পরে, জেপটো কোম্পানির সিইও হন। এখন কোটি কোটি টাকা মুনাফাকারী ভারতের জনপ্রিয় কোম্পানির হাত ধরে আদিতেরও বৃহস্পতি তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: (Narayana Murthy: পুরো মেমোরি ডিলিট করে ফেলেছিলেন নারায়ণমূর্তি, কী বলেছিলেন বস?)
ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি আদিত
বিগবাস্কেট, ডানজো এবং অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিগুলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে থাকা এই অনলাইন গ্রসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম তাঁকে উচ্চতায় নিয়ে আসে। দ্রুত পসার জমিয়েছে জেপটো। মাত্র এক বছরে অর্জন করেছে ৭,৪০০ কোটি টাকা। ইকোনমিক টাইমস অনুসারে, ২০২৪ সালের অগস্ট নাগাদ, কোম্পানির মূল্য ১১,৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর দরুণ আদিত পালিচার হাতের মুঠোয় এসেছে ৪,৩০০ কোটি টাকা। এখন ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এই ২৩ বছর বয়সী সিইও।
যদিও, জেপটো দিয়েই প্রথম শুরু করেননি আদিত। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাঁর প্রথম কোম্পানি গোপুল শুরু করেন, যদিও এটি সফল হয়নি। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু মহামারী তা হতে দেয়নি। স্ট্যানফোর্ডে ভার্চুয়াল ক্লাস চলার সময় তিনি বুঝেছিলেন যে কখনওই তাঁকে সেরার রাস্তায় নিয়ে যেতে পারবে না। তাই এরপর আদিত কিরানাকার্ট নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানোর জন্য ছোটবেলার বন্ধু কৈবল্যের সঙ্গে হাত মেলান। দুর্ভাগ্যবশত, এটিও মাত্র দশ মাসের বেশি বাজারে টিকতে পারেনি।
২০২১ সালেই ভাগ্য আসল রং দেখায়
২০২১ সালে, মহামারী চলাকালীন, কৈবল্য ভোহরার সঙ্গে জুটি বেঁধে জেপটো শুরু করেন আদিত। অল্প সময়েই সাফল্যের চূড়ায় ওঠে এটি। লঞ্চের মাত্র কয়েক মাস পরেই, পালিচা এবং ভোহরা উভয়েই কোটিপতি হয়ে যান। কোম্পানির মূল্য প্রথম বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৯০০ মিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপরে দ্বিতীয় বছরের শেষে ১.৪ বিলিয়ন ডলার অবধি উপচে পড়ে।
উল্লেখ্য, জেপটো সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং আদিতের ছোটবেলার বন্ধু, কৈবল্য ভোহরাও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে থাকতে পারেননি। কিন্তু আয়ের দিক থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছেন, সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন।