অলিম্পিক সহ একাধিক ক্ষেত্রে ভারতীয়রা গত এক দশক ধরে গর্বের অধ্যায় তুলে ধরেছে। সদ্য কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের খেলোয়াড়রা দেখিয়েছেন তাঁদের স্কিলের ভল্কি! অনেকেই জিতেছেন সোনা। এবার আরও এক সোনা জেতার সুযোগের হদিশ দিলেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা। সেই সোনা জেতার সুযোগের আঙিনা হল বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের ক্ষেত্র।
আনন্দ মহিন্দ্রা সদ্য তাঁর এক টুইটে তুলে ধরেছেন যে, ভারত কিভাবে গত কয়েক বছরে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য জায়গায় পৌঁছেছে। তাঁর টুইট পোস্টে এক পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। টুইটে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০০ সালের গড়ে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ধর্মী পত্রের নিরিখে এক থেকে দশের মধ্যের স্থানে নাম নেই ভারতের। এরপর একই ছবি ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। এই দুটি সময়কালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে উপরে ছিল। তবে ছবিটা পাল্টে যায় ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। এই সময়কালে ভারত বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্রের তালিকার নিরিখে সপ্তম স্থানে রয়েছে। যেখানে আমেরিকাকে হার মানিয়ে চিন শীর্ষস্থানে। লিজের কাছে হারলে কি 'ট্রুস মন্ত্রিসভা'য় থেকে যাবেন ঋষি? কী বললেন সুনাক!
আনন্দ মহিন্দ্রা বলছেন, এই একটি ক্ষেত্রেও ভারত চাইলে সোনা জিতে নিতে পারে! অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যদি চিন বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছে যায় আমেরিকাকে ছাপিয়ে, তাহলে ভারতও জয়েগ ডঙ্কা এই ক্ষেত্রে চাইলেই বাজাতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের এই তালিকায় ভারতের নিচে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স ,স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। দেখা যাচ্ছে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যের তালিকায় চিন ছিল এই ক্ষেত্রে ১৩ তম স্থানে। সেখান থএকে তারা শীর্ষে পৌঁছেছে। এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রটিকেও আরও এক ধরণের অলিম্পিক বলে সম্বোধন করেছেন আনন্দ মহিন্দ্রা।